Home জাতীয় ভারতীয় জেলেরা বঙ্গোপসাগরে অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
4 weeks ago

ভারতীয় জেলেরা বঙ্গোপসাগরে অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমাদের বড় সমস্যা হলো মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ভারতীয় জেলেরা বঙ্গোপসাগরে অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরছে।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আগে ভারত সরকারকে জানানোর কথা বলেন তিনি। এ বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন উপদেষ্টা।

আজ সোমবার মৎস্য অধিদপ্তরে ‘বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন সময় পুনঃনির্ধারণ’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি প্রজননের সঠিক সময় ও মৎস্য আহরণ বন্ধে বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আরও গবেষণা করে গবেষণার ফলাফল জনগণকে জানানোর পরামর্শ দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘ইলিশ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। ইলিশ ডিম ছাড়ার পর বড় হওয়ার জন্য সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। মৎস্যজীবীরা আমাদের আমিষের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে জেলেদের সুবিধা, অন্যদিকে মাছ রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।’

তিনি বলেন, ‘বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়লেও, পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম কমছে না। এক্ষেত্রে ইলিশ আহরণ, সরবরাহ, বিপণন, সংরক্ষণ প্রভৃতি জড়িত। আমরা জনগণকে খাওয়াতে পারছি কিনা, সেখানে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।’

জেলেজেলে

ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধে যতই নির্ধারণ করি না কেন, যদি আমরা মাছ ধরার জাল নিয়ন্ত্রণ না করি কোনো পদক্ষেপই কাজ হবে না। জাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে অভিযান ও জরিমানা অব্যাহত রয়েছে।’

‘শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব, তারা যেন জাল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কারখানাগুলোকে লাইসেন্স না দেয়। সমুদ্রে ট্রলার দিয়ে যারা মাছ ধরে, তাদের আরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে মাছ ধরার এবং সমুদ্র রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও নির্বিঘ্ন প্রজননের নিমিত্ত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পদ্ধতি। মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন ও জাটকা সংরক্ষণের ন্যায় সমুদ্রে মৎস্য প্রজাতির সফল প্রজনন ও প্রজননোত্তর সংরক্ষণ করা হলে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের আহরণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে গবেষকরা সুপারিশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *