লক্ষ্য তিনটা ম্যাচই জেতার: মারুফা
মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে বেশ মনোযোগী বাংলাদেশ। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে এই সিরিজ পরে সমান সংখ্যাক ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সিলেটে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের থেকে জ্যোতিদের নজর বেশি ওয়ানডেতে আর এই সিরিজে জয়ের বিকল্প দেখছে না তারা। রবিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় দলের পেসার মারুফা আক্তারও জানিয়েছে এমন কথাই।
ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে দুই দলই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলনের কারণে সিরিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। গতপরশু থেকেই আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠিন করছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। কথা ছিলো গতকালও অনুশীলন করার। তবে এদিন সকালে পূর্বনির্ধারিত অনুশীলন বাতিল করে হোটেলেই সময় কাটিয়েছে আইরিশরা। কিন্তু দুপুরে ঠিকই অনুশীলন বাংলাদেশ দল। আর তার আগে শের-ই-বাংলায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দলের তরুণ পেসার মারুফা।
প্রস্তুতি ও সিরিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব সিরিজের তিনটি ম্যাচই জেতার। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ আছে, তাই এই সিরিজ জয়ই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’ ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা নিশ্চিত করতে হলে এই সিরিজের তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। এ নিয়ে অবশ্য আশাবাদী এই পেসার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, যাতে তিনটা ম্যাচই জিতে পারি। যেহেতু সামনে আমাদের বিশ্বকাপ (ওয়ানডে) তো লক্ষ্য তিনটা ম্যাচই জেতার।’
চলতি বছর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে জ্যোতিরা যদিও আশানুরূপ ফলাফল হয়নি। এবার প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মানের দল না হলেও টাইগ্রেসদের তুলনায় কমও না। শক্তি সামর্থ্যে তারা পুরুষ ক্রিকেটে বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে থাকলেও নারী ক্রিকেটে বেশ এগিয়ে। কারণ আইরিশ নারী দলের অনেক ক্রিকেটার নিয়মিতই খেলে কাউন্টি ক্রিকেটে। এছাড়া দক্ষতাও অভিজ্ঞতার দিক থেকেও বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে তারা। তবুও মারুফা তাদের বিপক্ষে ভালো ফলাফল করা সম্ভব বলে আত্মবিশ্বাসী।
বলেন, ‘মাঠে চেষ্টার তো কোনো শেষ নেই। আমরা অনেক পরিশ্রম করছি, চেষ্টা করছি। চেষ্টা করতে করতে এক দিন না এক দিন সফল (ভালো ফলাফল করা) তো হবই। আমি মনে করি এখন যত সময় যাচ্ছে ডে বাই ডে সবাই উন্নতি করছে। তো ওরাও (আয়ারল্যান্ড) ভালো দল, তো আমরাও ওইভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে আমরা তিন ম্যাচই ভালো করতে পারি। কারণ ওরাতো এখানে এমনি এমনি আসেনি ভালো খেলবে অবশ্যই। তো আমরাও চেষ্টা করছি ভালো ভাবে যেনো ম্যাচগুলো জিততে পারি।’
এর আগে গেল বছর দেশের নারী ক্রিকেটে বেশ ভালো উন্নতি দেখা গিয়েছিলো। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা প্রদর্শন করেছিলো তারপর পাকিস্তানের বিপক্ষেও ভালো ফলাফল আসে। তবে ফের ছন্দ পতন হয় দলের চলতি বছর উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায়নি দলে। ২০২৪ সালে টানা চারটি ম্যাচে হারের ধারা তাদের চাপে রেখেছে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সম্ভাবনা জাগিয়েও খুব ভালো পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে মারুফা বলেন, ‘আমাদের টিমবন্ডিংটা অনেক ভালো, কিন্তু আমরা যখন খেলি তখন ছোটো ছোটো পারফর্মম্যান্সের কারণে পেছনে পড়ে যাই। তো আমার মনে হয় ম্যাচে যেই ছোটো ছোটো ভুলগুলো আমরা করি এটাই আমাদের সফলতা না পাওয়ার কারণ।’
এদিকে ২০ বছর বয়সী পেসার মারুফার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল চমক জাগিয়ে। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকেই নিজের সহজাত বোলিং ও বৈচিত্র্য দিয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। তবে সা¤প্রতিক সময়ে তার পারফরম্যান্স গড়পড়তা হলেও, ভালো করার জন্য নিয়মিত পরিশ্রম করছেন বলে জানান। মারুফার মতে, ‘আমি চেষ্টা করছি, অনেক পরিশ্রম করছি। তবে কীভাবে চেষ্টা করছি সেটা আমার ব্যক্তিগত। সিরিজে আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য সিক্রেট (গোপন) থাকে, সব সময় সিক্রেটই থাকবে।’