Home জাতীয় নিত্যপণ্যের দাম না কমার কারণ জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
নভেম্বর ২০, ২০২৪

নিত্যপণ্যের দাম না কমার কারণ জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। সরকার মাঠ পর্যায়ে তদারকিসহ পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবির আলু বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে মূল্যস্ফীতি মূলত সরবরাহ কেন্দ্রিক। সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। তবে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু পণ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে কিছুটা দাম কমেছে। সরবরাহ ঠিক রাখতে ভোক্তা অধিকারকে আরও জোরালোভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

সরকার জনগণের কষ্টের বিষয়ে অবগত আছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে চাল আদমানি শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তেল নিয়ে ব্যাপক কাজ করছি। রমজানকে সামনে রেখে সব পক্ষ সমন্বিত কাজ করছি।

আমদানির ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান কিংবা চীন দেখা হবে না জানিয়ে বশির উদ্দিন বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন নেই বাংলাদেশের। বাণিজ্য উদারনীতিতে চলমান থাকবে।

৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কার্যক্রমের কথা বলতে গিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি স্থানে ভোক্তাদের জন্য ৪০ টাকা দরে জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে পরিধি আরও বাড়ানো হবে।

এ সময় ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রামে টিসিবির ট্রাকসেলের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এই কার্যক্রমের আওতায় আজ থেকে রাজধানীর বাসিন্দারা ৪০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পারবেন। তবে একজন কিনতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ কেজি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন-আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান আছে।

এ কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য তেল, ডাল ও চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতিকেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *