Home সারাদেশ পরকিয়ার জেরে খুনের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪
নভেম্বর ১৪, ২০২৪

পরকিয়ার জেরে খুনের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪

তাজু কান্তি দে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
পরকিয়ার জের ধরে খুন হয় ওমান প্রবাসী শাকিল ওরফে মুসা (২৫)। ঘটনার নেপথ্যে ছিলো পরকিয়া করে শারিরীক সম্পর্ক ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ সেই সাথে ঐ নারীর গর্ভপাত। খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এমনি হত্যার প্রায় ১ যুগ পর উদঘাটনের পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলো ৪ আসামী।

১১ নভেম্বর, সোমবার পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল প্রেস ব্রিফিং করে এমন এক ঘটনার চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটনের চিত্র তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে।

গ্রেফতারকৃত ৪ জন হলেন- শরিয়ত উল্লাহ (৬৮), মো. দেলোয়ার হোসেন দেলু (২৫), নাসিমা আক্তার (৩৫) ও মনির হোসেন (৪৫)।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মাথার খুলি, ৫ টি হাড় এবং পরিহিত কাপড়ের অংশ বিশেষ আলমত উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের বিশেষ টিম।

পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, দীর্ঘ ১১ বছর পূর্বে নিখোঁজ ওমান প্রবাসী ভিকটিম শাকিল মুসা হত্যার ঘটনায় আদালতের আদেশে রুজুকৃত মামলার তদন্ত করা হয়। এসময় প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী নাসিমার ননদের স্বামী ভিকটিম শাকিল মুসার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে জানান।

ভিকটিম মুসা বিভিন্ন সময়ে নাসিমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর মুসা জীবিকার জন্য বিদেশে পাড়ি দেন। এদিকে নাসিমা অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং তার গর্ভপাত ঘটে।

বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে নাসিমার পিতার বাড়ির লোকজন মুসার উপর ক্ষুব্ধ হয়। মুসা বিদেশে থাকাকালে তার আয়ের অর্থই নাসিমার কাছে প্রেরণ করে। সেই টাকা আত্মসাৎ এবং উভয়ের অবৈধ সম্পর্ক গোপন রাখতে আসামী নাসিমা তার সহোদর ভাই আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় মুসাকে হত্যা করে তাদের নিজ বাড়ির পাশে লাশটি মাটিচাপা দেয়।

কিন্তু ঘটনাস্থলটি আসামীদের নিজ বাড়ির নিকটবর্তী এবং নিজেদের মালিকানাধীন জায়গায় হওয়ায় ঘটনার দায় এড়ানোর জন্য ঘটনার দুদিন পরে আসামি আনোয়ার, নাসিমা এবং শরীয়ত উল্লাহ মরদেহ উত্তোলন করেন। পরে বস্তাবন্দি করে আনোয়ার হোসেন এবং শরীয়ত উল্লাহ মটরসাইকেলযোগে মানিকছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকাস্থ জয়নাল চেয়ারম্যানের গাছবাগানের দক্ষিণে গহীন জঙ্গলে পাহাড়ী খাদে ফেলে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *