ইসরাইলি ঘাঁটিতে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে সফল হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র জেরুজালেমের কাছে পড়লে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার ইরান সমর্থিত হুথি জানিয়েছে, জাফার দক্ষিণ-পূর্বে নাহাল সোরেক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একটি সামরিক অভিযান চালানো হয়। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়।
এদিকে হুথি পরিচালিত প্রধান টেলিভিশন নিউজ আউটলেট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনের আমরান ও সাদাহ গভর্নরেট লক্ষ্য করে সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, জেরুজালেমে পশ্চিমে বেত শেমেশ এলাকায় ইয়েমেন থেকে আসা একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয় এবং এর ফলে আগুন ধরে যায়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, রোববার মধ্যাঞ্চলীয় গাজা ভূখণ্ডে বাস্তুচ্যুত একটি পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া একটি তাঁবুতে ইসরাইলি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের প্রধান বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, রোববার রাতে নুসেইরাত শিবিরের পশ্চিমাঞ্চলে ফিলিস্তিনিরা ব্যাপক বোমা হামলার খবর দিয়েছে এবং কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের নুসেইরাতের আওদা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালের পরিচালক ড. ফাদেল নাইম জানান, রোববার সকালে গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ার শহরে শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় দেওয়া একটি বাড়িতে ইসরাইলি হামলায় ৯ জন নারীসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়।
বৈরুতের উত্তরে আলমাত গ্রামে ইসরাইলি বিমান হামলায় সাতজন শিশুসহ ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এটি উত্তর ও পূর্বে যেখানে হিজবুল্লাহর উপস্থিতি অনেক বেশি সেখান থেকে বেশ দূরে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে সরে যাওয়ার কোনো সতর্কবার্তা ছিল না এবং হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইল কোনো মন্তব্য করেনি।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা বলছে, লেবাননে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধে দুই শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা