প্রবাসীদের মাধ্যমে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার সরকারকে দানের পরিকল্পনা পিনাকীর
প্রবাসীদের মাধ্যমে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকারকে দানের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য। এ ছাড়া তিনি প্রবাসীদের দেশে পাব্লিক ফিনান্সে স্টেইক নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালের দিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
পিনাকী ভট্টাচার্যের পোস্ট ইত্তেফাকের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘প্রবাসীরা কি এক বছরে দশ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকারকে দান করতে পারবে? উত্তর হচ্ছে, আমরা জানি না, কারণ এই কাজটা কখনো করা হয় নাই। কেন কখন মানুষ আগ বাড়ায়ে নিজের সরকারকে দান করতে যায় এই প্রশ্নটা খুব ইন্টারেস্টিং। আসেন এইটা বুঝে নেই। তাহলে আপনি নিজেই বুঝবেন এটা সম্ভব কি না?
হাসিনার আমলে আমরা নিজের দেশকে নিজের ভাবতাম না। বাংলাদেশের টিম হারলে আনন্দ লাগতো। নিজের দেশকে উগান্ডা বাঙ্গুল্যান্ড আরো হরেক কিসিমের নামে ডাকতাম। নিজের দেশকে আমি ঔন করতাম না।
আমরা আগষ্ট বিপ্লবে আমাদের ঔনারশীপ রিক্লেইম করেছি নিজের দেশে। এইটা ঐতিহাসিক মুহুর্ত। এই মুহুর্তে আমরা সবাই জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলাম, পকেটের টাকা তো কোন ছাড়।
আপনারাই হিসাব করেন। আমরা প্রত্যেক প্রবাসী গড়ে মাসে বাংলাদেশ সরকারকে চল্লিশ ডলার করে যদি দেই। এক বছরে কতো টাকা হয়? আমি জানি টার্গেট উচ্চাভিলাষী। কিন্তু উচ্চাভিলাষী টার্গেটই নিতে হয়। আপনার কি এই টার্গেট এখন খুব বেশী বা এচিভ করা যাবে না এমন মনে হচ্ছে?
ভেবে দেখেছেন, পাব্লিক ফিনান্সের এই তরিকা যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এইটা যেকোন দেশের জন্য একটা দারুণ মডেল হবে। প্রবাসীরা যদি পাব্লিক ফিনান্সে এই স্টেইক নিতে পারে বাংলাদেশের সেই রাষ্ট্র আর কখনো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারবে না। এই কাজ কেউ কখনো করে নাই। আমরা করে দেখাবো। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না এইটা শুধু পলিটিক্যালি নিশ্চিত করা নয়, রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বিগার স্টেইক নিয়েও নিশ্চিত করা সম্ভব। বিশ্ব ব্যাংক, আই এম এফের চাইতে লাউডার ভয়েস থাকবে প্রবাসীদের।
এই পরিকল্পনা কেমন লেগেছে?’