Home জাতীয় মানজুরের সঙ্গে জামায়াতের নেতাদের সম্পর্কের দাবিটি ভুয়া: ডিসমিসল্যাব
আগস্ট ৪, ২০২৪

মানজুরের সঙ্গে জামায়াতের নেতাদের সম্পর্কের দাবিটি ভুয়া: ডিসমিসল্যাব

সম্প্রতি কোটা ইস্যুতে আলোচনায় থাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর-আল-মতিনের সঙ্গে জামায়াতের প্রয়াত শীর্ষ নেতাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন জন দাবি করছেন। তবে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, এ দাবি সঠিক নয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিপুল হতাহতের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। তাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। দুই আইনজীবীর একজন মানজুর-আল-মতিন।

শুধু রিট নয় সরাসরি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের সমর্থন দেন আইনজীবী মনজুর। এরপরই শুক্রবার সকাল থেকে ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজসহ সরকারি দলের বিভিন্ন সমর্থক ও নেতাদের প্রোফাইল থেকে ছড়ানো একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজা আসমা খাতুন মানজুরের নানি। তাঁর মামা ও খালুর সঙ্গে জামায়াত নেতা গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।

ডিসমিসল্যাব যাচাই করে দেখতে পেয়েছে, তিনটি দাবিই মিথ্যা এবং পোস্টগুলোতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে মানজুরের আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।

ডিসমিসল্যাব মানজুরের এবং তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ করে দেখেছে, তার নানির নাম মাহবুবুন্নেসা। আসমা খাতুন তার নানি নন।

আসমা খাতুনের সন্তানদের একজনের সঙ্গে ডিসমিসল্যাব যোগাযোগ করেছে। তিনিও নিশ্চিত করেন যে তথ্যগুলো সত্য নয়। তাঁদের পরিবারে মানজুর নামের একজন সদস্য আছেন। তবে তিনি মানজুর-আল-মতিন নন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়, মানজুরের আপন মামা হলেন সাইফুল্লাহ মানসুর। কিন্তু ডিসমিসল্যাব বলছে, মানজুর এবং একটি আলাদা সূত্রে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এই মানজুরের ছোট মামার নাম ‘মনসুরুল খান’, ‘সাইফুল্লাহ মানসুর’ নয়।

সাইফুল্লাহ মানসুর হলেন জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য আসমা খাতুনের ছেলে এবং মতিউর রহমান নিজামীর জামাতা। যোগাযোগ করা হলে সাইফুল্লাহ মানসুর নিজেই ডিসমিসল্যাবকে বলেন, মানজুরের সঙ্গে তার পরিবারের আত্মীয়তার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তিনি মানজুরের মামা নন।

যাচাইয়ে ডিসমিসল্যাব জানতে পেরেছে, ছাত্রলীগের পেজ ও বিভিন্ন প্রোফাইলে করা দাবিগুলোতে যে পারিবারিক সম্পর্কের তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য আসমা খাতুনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলে যায়। কিন্তু মানজুরের নানার পরিবারের সঙ্গে মেলে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *