এবার মাছের দাম বেড়েছে হিলিতে
জুবায়ের হোসাইন, হিলি (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। গেলো শুক্রবার (২৬ জুলাই) রুই মাছের (বড়) কেজি ছিল ২৮০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশি দামে মাছ বিক্রি করছেন। তাই মাছের দাম বেড়েছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, মাছ চাষিরা তাদের জানিয়েছেন। মাছের খাদ্যের দাম বেশি হওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। এই কারণে বেশি দাম মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে হিলির মাছ বাজারে কথা হয় মাছ কিনতে আসা মো. জসিম উদ্দিন নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি নিম্ন আয়ের মানুষ। সিলভারকার্প বা পাঙ্গাস মাছ কিনি। গত শুক্রবার যে পাঙ্গাস মাছ কিনেছিলাম ১৪০ টাকা কেজি দরে, আজ সেই সাইজের পাঙ্গাস মাছ কিনতে হলো ১৬০ টাকা দরে। একইভাবে বেড়েছে সিলভারকার্প মাছের দাম কেজিতে ২০ টাকা।’
আরেক ক্রেতা মো. উজ্জল হোসেন বলেন, ‘গত শুক্রবার বড় সাইজের রুই মাছ কিনেছি ২৮০ টাকা কেজি দরে। আর আজ সেই রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা দরে। এছাড়া বেড়েছে কাতল, মৃগেলসহ অন্যান্য মাছের দামও।’
মাছ-বিক্রেতা মো. আব্দুল কুদ্দস বলেন, ‘আমি নিয়মিত পাঙ্গাস মাছ বিক্রি করি। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পাঙ্গাস ১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আর এই সপ্তাহে ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
হিলি বাজারের পাইকারি মাছ-বিক্রেতা মো. জাহিদুল ইসলাম ‘ভয়েস অব বাংলাদেশ’কে বলেন, ‘গেলো সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে মাছে দাম একটু বেশি। চাষিরা আমাদের বলছেন, মাছের খাদ্যের দাম বেশি। তাই মাছের উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। এই কারণে মাছের দাম বেড়েছে।’
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা মাছ-চাষিদের কাছ থেকে পাইকারি মাছ কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। তারাও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করেন। গত সপ্তাহে রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে কিনে ২৭০ টাকা দরে খুরচা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছি। তারা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আর এ সপ্তাহে রুই মাছ পাইকারি কিনতেই পড়ছে ৩০০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৩১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তারা হয়তো কেজিতে ১০ টাকা লাভ রেখে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।