অর্থপাচার মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদনের শুনানি কাল
মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত শীর্ষ কর্মকর্তার করা আবেদন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে ওই মামলায় গত ১২ জুন ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রয়েছে। অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা সোমবার আবেদন করেন। আবেদনটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।
মঙ্গলবার আদালতে ড. ইউনূসসহ সাতজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন।
আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলায় শুনানি করবেন বলে আদালতে উল্লেখ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে আদালত বুধবার ১১টায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।’
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ছাড়া অপর ছয় আবেদনকারী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
আবেদনের প্রার্থনায় দেখা যায়, ওই মামলার কার্যধারা কেন বাতিল হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মামলার পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।