বন্যা-পাহাড় ধসে বিপর্যস্ত খাগড়াছড়িবাসী
টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে বন্যার পাশাপাশি ব্যাপক পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। এতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) খাগড়াছড়ি শহরের শালবাগান, হরিনাথ পাড়া, রুসুলপুর ও মেহেদীবাগে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মাটিরাঙ্গার সাপমারায় পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এদিকে বন্যার কারণে জেলার চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দীঘিনালার কবাখালী ও মেরুং এলাকায় সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটির সাজেক ও লংগদুর সঙ্গে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। এছাড়া জেলা শহরের মুসলিম পাড়ার একাংশ, মিলনপুর, কল্যাণপুর, মেহেদিবাগ, উত্তর ও দক্ষিণ গঞ্জপাড়া, শান্তিনগর ও বাঙ্গালকাটির একাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাহাড় ধস ও বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোলা হয়েছে ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং চলছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, পৌর এলাকায় ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত ও পানিবন্দি পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং চলমান।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পুরো জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্ৰ খোলা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।