বিএনপি গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়েছে কেন, জানালেন কাদের
বিএনপি তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারাটি বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি কেন ৭ ধারাটি তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দিয়েছে, তার কারণও বলেছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ প্রশ্ন তুলেন।
২০১৮ সালে দলের গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনে বিএনপি। তাতে দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে ৭ নাম্বার ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। দল ভাঙার চেষ্টায় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে এই আশঙ্কায় ধারাটি বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিএনপি। সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনেও (ইসি) জমা দিয়েছে দলটি।
এ প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়েছে। কারণ কী? কারণ ওই ৭ ধারায় বলা আছে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বিএনপির নেতা হতে পারবে না। এই ধারায় তারেক রহমান দোষী হয়ে যাচ্ছে। তাই তারেকের নির্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম কলমের খোঁচায় এই ধারা বাদ দিয়েছেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, অস্ত্র ও দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। তার আর কত সাজা হবে? তার তো সাজা হয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি ভোগের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসত, তাহলে গতবারের (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) মতো খারাপ ফলাফল হতো না। এটাই আমি মনে করি। কারণ সার্বিক পরিস্থিতির কারণে অপজিশনের (বিরোধী দল) একটা ভোট ছিল। কিন্তু তারেক রহমান মনে করে, যদি এই অবস্থায় বিএনপি ভালো করে এটার সুফল তো আমি পাচ্ছি না। এখন তার অনুপস্থিতিতে অন্য কেউ নেতা হবে! ফখরুল সাহেব নিজেও তারেকের ধমকের ওপর চলতে হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।