Home জাতীয় ডিবি হারুনকে অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বললেন প্রতিমন্ত্রী
জুন ১৩, ২০২৪

ডিবি হারুনকে অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বললেন প্রতিমন্ত্রী

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, অবৈধ মোবাইল ফোন আমরা বন্ধ করব না; কিন্তু অবৈধ হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করতে হবে। আমি গোয়েন্দাপ্রধানকে (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ বা ডিবি) বলব, যেন বাজারে থাকা অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে এ নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

সেমিনারে মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে একই আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর দিয়ে দেড় লাখের বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট চলছে। নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ মোবাইল ফোন। দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদকরা জানান, অবৈধভাবে কর ফাঁকি দিয়ে লাগেজ-ব্যাগেজে আনা মোবাইল ফোনের বাজারজাত বন্ধ না হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হবে হ্যান্ডসেট উৎপাদকদের।

পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী পলক সেমিনারে উপস্থিত ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের উদ্দেশে অবৈধ মোবাইল ফোনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে বলেছেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, এদিকে আমাদের নজর আছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে মোবাইল আনা হচ্ছে। রাজধানীর মোতালেব প্লাজা, গুলিস্তান পাতাল মার্কেট, বসুন্ধরা সিটিসহ নামিদামি মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে কর ফাঁকির ফোন। যার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এতে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরা হচ্ছে। ইন্ডিয়াতে খুন করলেও আমরা ধরে ফেলি। ওমানে অপরাধ করলেও ধরে আনি।

সেমিনারে জানানো হয়, হ্যান্ডসেট সংযোজনে বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইল ফোনের দখলে। এতে বছরে ১ হাজার কোটি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচার ফোন মিলিয়ে উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।

দেশের টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজনে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা–অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম সফিকুজ্জামান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

আইএমইআইয়ের পুরো অর্থ হলো- দ্য ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্টেশন ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি। প্রতিটা মোবাইল ফোনেই ১৫ ডিজিটের একটি ইউনিক নম্বর থাকে। বিশ্বের যেকোনো ফোনকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয় এ নম্বর। ফোন ছাড়াও টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে এ রকম ডিভাইস যেমন পিসিএমসিআইএ ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কার্ড ব্যবহার করা থ্রিজি/ফোরজি ট্যাবলেট, ল্যাপটপেও থাকে এ নম্বরটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *