কপাল পুড়ল শ্রীলংকার, যা লাভ হলো বাংলাদেশের
এবারের বিশ্বকাপে সুপার এইটের পথে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল শ্রীলংকা। গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও শেষ দুই ম্যাচ জিতে সুপার এইটে যাওয়ার রাস্তা খুলা ছিল তাদের সামনে। তবে বৃষ্টিতে নেপালের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় শ্রীলংকার জন্য এখন সেই রাস্তাটি প্রায় বন্ধ বলা চলে। আর তাতেই একটা লাভ হয়েছে বাংলাদেশেরও।
আগে যেখানে সুপার এইটে যেতে গ্রুপপর্বের শেষ দুটি ম্যাচ জিততে হতো বাংলাদেশকে। সেখানে সমীকরণ এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সামনে। শেষ দুই ম্যাচের একটিতে বাংলাদেশ জয় পেলেও বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে শ্রীলংকার। সেই সঙ্গে সুপার এইটে খেলার ভালো সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের। যদিও এক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দুটি দলের দিকেও। কেননা, গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে টিকে থাকা নেদারল্যান্ডস ও নেপালেরও দুটি করে ম্যাচ বাকি এখনও। যদিও পয়েন্ট টেবিলের হিসেবে এই দুটি দলের চেয়ে এগিয়েই আছে বাংলাদেশ।
তাছাড়া নেদারল্যান্ডস ও নেপালের থেকে বাংলাদেশের সমীকরণটা কিছুটা হলেও সহজও। কেননা, শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে খেলতে হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বিপক্ষে। অন্যদিকে নেপালকে খেলতে হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। নেপালের জন্য নিশ্চয় সহজ হওয়ার কথা নয় পরের দুই ম্যাচ জেতা। আর তাছাড়া শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও বাকিদের ওপর তাকিয়ে থাকতে হবে নেপালকে। আর কোনো কারণে একটি ম্যাচ হারলেও নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের বিদায়।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুপার এইটের পথে সবচেয়ে বড় বাধা নেদারল্যান্ডস। যাদের বিপক্ষে আগামীকালই মাঠে নামবে নাজমুল শান্তর দল। এই ম্যাচটা তাই এক রকম নকআউট ম্যাচে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য। যেখানে জয় পেলে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের এক পা দেওয়া হয়ে যাবে সুপার এইটে। কেননা, সমান ২ ম্যাচ শেষে ২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে ডাচদের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের তখন পয়েন্ট দাঁড়াবে ৪। সেই সঙ্গে বেড়ে যাব রান রেটটাও। যা শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় তুলে সুপার এইটের সমীকরণ মেলানো বেশ কঠিনই হবে ডাচদের জন্য। তাছাড়া নিশ্চয় কোনো জয় ছাড়া আসর শেষ করতে চাইবে না শ্রীলংকা। শেষ বেলায় মরণকামড়ই ডাচদের দিতে চাইবে তারা। আর তাতে করে যে লাভটা হবে বাংলাদেশেরই।