ঈদ কে সামনে রেখে হিলিতে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
জুবায়ের হোসাইন, হিলি(দিনাজপুর)
কোরবানির ঈদ ঘিরে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। এতে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তারা। ২১ দিন বন্ধের পর মঙ্গলবার (০৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৩৩ মেট্রিক টন আমদানি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে আমদানি। বন্দরের সততা বাণিজ্যালয় এগুলো আমদানি করেছে।
সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান ভয়েস অব বাংলাদেশ কে বলেন , ‘গত ৪ মে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর হিলি বন্দরের ব্যবসায়ীরা এলসি খোলাসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। গত ১৪ মে বগুড়ার আরএসবি এন্টারপ্রাইজ ৩০ টন আমদানি করেছিল। কিন্তু ভারত সরকার প্রতি টন পেঁয়াজে ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ মার্কিন ডলার। ডলারের বিনিময় মূল্য ১১০-১১৮ টাকা হিসাবে আমদানি মূল্য পড়ছে প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা। সব মিলিয়ে দাম পড়ছে ৭০ টাকার মতো। কিন্তু দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এ অবস্থায় সেই পেঁয়াজ লোকসান দিয়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি করেন আমদানিকারক। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় আমদানি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।’
এখন আবারও সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে দাম বেড়ে গেছে জানিয়ে বাবলুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে আবারও আমদানি শুরু করেছি আমরা। কয়েকদিন পরই ঈদুল আজহা। এ সময়ে পেঁয়াজের বেশি চাহিদা থাকে। আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমে আসবে। তবে ভারত সরকার যদি রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি দাম আরও কমে আসবে।’
২১ দিন পর বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে জানিয়ে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ভয়েস অব বাংলাদেশ কে বলেন, ‘আজ ৩৩ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছে। কাঁচা পণ্য হওয়ায় কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।