ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, গ্রেফতার ৩
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কহিনুর বেগম শিলার ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় শিলা বাদী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজুকে (কলস প্রতীক) প্রধান করে ৮ জনের নামে মামলা করেছেন।
মামলার পর ফাতেমা বেগম সাজুর ভাই আলী হায়দার হেঞ্জু, ছেলে কামরুল হাসান সবুজ ও ভাতিজা মো. রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ালিয়া মাতাব্বর কান্দি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার সকালে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
শিলা জানান, শনিবার রাতে তিনি নির্বাচনি প্রচারণা শেষ করে ভাগিনা মো. বাবলুর মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ালিয়া মাতাব্বরকান্দি এলাকায় পৌঁছলে সেখানে থাকা সাজুর কর্মী-সমর্থকরা রড ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর হামলা চালান। এ সময় তাকে ও তার সাথে থাকা ভাগিনা বাবলুকে বেধম মারধর করে গুরুতর আহত করেন এবং তাদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটিকে ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীকের প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজু ও তার লোকজন তিনি প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি ও প্রচারণায় বাধা দিয়ে আসছে। রোববার বিকালে কহিনুর বেগম শিলার স্বামী তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, হামলার ঘটনায় কহিনুর বেগম শিলা বাদী হয়ে সাজুকে প্রধান করে ৮ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলার আলোকে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।