নড়াইলে সাবেক চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার ৪
নড়াইলের লোহাগড়ায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে গুলি করে হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ ও নড়াইল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মোস্তফা কামালকে তিনটি গুলি করা হয়। এর মধ্যে দুটি তাঁর বুক ও পিঠে লাগে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মামলার প্রধান আসামি ‘শুটার’ সাজেদুল মল্লিক (২৫), পাভেল শেখ (২৮), মামুন মোল্যা (২৬) ও মো. রহমত উল্লাহ শেখ (১৯)।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ শুক্রবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এসব কথা জানান। তিনি বলেন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল। তাঁর সঙ্গে একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আকবর হোসেনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরাফাত ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মোস্তফা কামাল ও আকবর হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে আকবর হোসেন গুরুতর আহত হন। তাঁর একটি হাত কাটা পড়ে। এ ঘটনার জেরে আকবরের অনুসারীরা মোস্তফা কামালের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। আকবরের নির্দেশনায় ঘটনার দিন সকালে তাঁর ছোট ভাইয়ের বাড়িতে গ্রেপ্তার সাজেদুলসহ অন্য আসামিরা এ হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা মোস্তফা কামালের ওপর গত ১০ মে হামলা করেন। তাঁকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি করা হয়। এর মধ্যে দুটি তাঁর বুক ও পিঠে লাগে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সাজেদুল স্থানীয় একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। তিনি আকবরের অন্যতম প্রধান সহযোগী। তাঁর বিরুদ্ধে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় মারামারি, চুরি ও চাঁদাবাজি তিনটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার রহমত উল্লাহ শেখ পেশায় শ্রমিক। এক লাখ টাকার চুক্তিতে তিনি এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। তাঁর বিরুদ্ধে মারামারির অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। আগেও তিনি কারাভোগ করেছেন। পাভেল এইচএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় মারামারি ও চুরি তিনটি মামলা রয়েছে। মামুন মোল্যার বিরুদ্ধে মারামারি ও চুরির ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে।