Home সারাদেশ মিথ্যার এই বাজারে শুধু পয়সা দিলে সব সওদা মেলে!মিথ্যেরাও থাকে সত্যের পোষাকে। 
মে ৪, ২০২৪

মিথ্যার এই বাজারে শুধু পয়সা দিলে সব সওদা মেলে!মিথ্যেরাও থাকে সত্যের পোষাকে। 

তাইফুর রহমান, লেখক ও সমাজকর্মী :
“এই বাজারে সব সওদা মিলবে বড় বাবু,শুধু পয়সা দিলে সব মেলে”

চতুর্দিকে যখন মিথ্যার ছড়াছড়ি, তখন সত্যিকে কিভাবে খুজে পাওয়া সম্ভব?মানুষ প্রয়োজনে মিথ্যা বলে,আবার বিনা প্রয়োজনেও মিথ্যা বলে,সেই মিথ্যাকে সত্যি বানাতে নানান যুক্তি বা অযুহাতও দাড় করায়।চারদিকে সত্যের পোষাকে হাজারো মিথ্যা লুকিয়ে থাকলেও তা এখন আলাদা করা মুশকিল।অথচ মিথ্যাই মানুষকে ধ্বংস করে।
সমাজটা এখন এমন একটা যায়গায় এসে দাড়িয়েছে যেখানে একটি বৃত্তের মতো সব ঘুরছে।আর তার কেন্দ্রে রয়েছে অর্থ বা পয়সা তথা টাকাকড়ি। আর অর্থের প্রাচুর্য গড়ার আগ পর্যন্ত সবার ধারণা এই পয়সায় সব মেলে,পয়সায় আবেগ মেলে,ভালোবাসা মেলে,উন্মাদনা মেলে,রঙিন আলো মেলে,শীতল হাওয়া মেলে,উষ্ণ হাত থেকে উষ্ণ স্পর্শ মেলে,পয়সায় বাঘের দুধ মেলে।পয়সা দিলে এখানে মিথ্যাকে সত্যি বানানো যায়,সত্যিকে মিথ্যা।যদিও সত্যি সত্যিই এবং একদিন এর বিজয় হয়,তবে তা বহু দেরিতে।
এদেশে ধর্ষক,খুনী,চোর,ডাকাত,মাদক সম্রাট,দুর্নিতিবাজরা আটক হলেই তাদের পক্ষেও বড় বড় আইনজীবী পাওয়া যায়।প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্যিকেও তারা মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যি বানানোর জন্য সাক্ষী প্রমান দাড় করান।অনেক সময়ই মিথ্যা জিতে যায়।সব তো এই পয়সার লোভেই করে দেন তারা কোনো বিচার বিবেচনা ছাড়াই।আর বাছবিচার ছাড়া তো মানুষের চলার কথা নয়,এরকম তো অন্যান্য প্রানীরা চলে,তবে কি অর্থের লিপ্সা আমাদেরকেও সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে?
আপনি ভেবে দেখেছেন কি?এই সমাজে মিথ্যার কতটা কদর,মিথ্যা সাক্ষী,মিথ্যার পক্ষের উকিল সব মেলে শুধু পয়সা দিলেই।।এই সমাজে কি বিক্রি হয়না?
সব বিকেয় পয়সায়।চরিত্র, ভালোবাসা, মায়া,স্বপ্ন,আবেগ,সত্যি,মিথ্যা,প্রেম,উষ্ণ আবেগের জোয়ার সব কিছুর একটা বাজার এখানে।।আপনার সওদা দরকার, শুধু পয়সা দিন বাবু,এই বাজারে মায়া থেকে বাঘের দুধ সব মিলবে।রাতকে দিন বলে সাক্ষী দেবে,দিনকে রাত।।
মিথ্যার এক মহা সমুদ্রের এই সমাজে কি করে মানুষ সুখের মতো অমূল্য সম্পদ খুজে বেরায়?পচা ডোবায় কি ফুলের খুশবু মেলে?তবে দিন শেষে মিথ্যা মিথ্যাই,মিথ্যায় দুর্গন্ধ থাকবেই।
তবু তো লড়তে হবে সত্যকে টিকিয়ে রাখতে,টুটি চেপে ধরতে হবে মিথ্যার।বাচানোর চেষ্টাটা চলুক এই সমাজটাকে ধ্বংসের শেষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *