যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তি দাবিতে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ
সাজাপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সোমবার নিম্ন আদালতে জামিন চাইতে যান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। টুকুকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ও তার মুক্তি দাবিতে এদিন বিকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে যুবদল।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সমাবেশে রিজভী বলেন, এই অবৈধ হাসিনা সরকার তাপপ্রবাহের মতো এক বিষাক্ত চেম্বারে দেশের জনগণকে নিপীড়ন নির্যাতন করে যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুন্নাকে এক বছর কারান্তরীণ রাখা হয়েছে। এখন সভাপতি টুকুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ ক্ষমতা নির্বিঘ্ন করার জন্য দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে যুবদল নেতাদের বিরত রাখা যাবে না। বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কাছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।
মিছিল ও সমাবেশে আরও অংশ নেন- যুবদলের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, কামাল আনোয়ার আহমেদ, আব্দুল জব্বার খান, বিল্লাল হোসেন তারেক, আজিজুর রহমান আজিজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ খান, আতিক আল হাসান মিন্টু, প্রচার সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হক হিমেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, সাখাওয়াত হোসেন চয়ন, গোলাম ফারুক, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, সহ-তথ্য সম্পাদক পার্থ দেব মন্ডল, মাজেদুল ইসলাম রুমন, কেএম সানোয়ার, মুসাব্বির শাফি, আমিনুর রহমান আমিন, মিজানুর রহমান সুমন, নাসির উদ্দীন শাওন প্রমুখ।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন মামলায় সাড়ে সাত বছরের সাজা দেওয়া হয় যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে।