Home রাজনীতি দেশকে কারও তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো চলবে না —রিজভী
এপ্রিল ৩, ২০২৪

দেশকে কারও তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো চলবে না —রিজভী

 বাংলাদেশকে কারও তাঁবেদারি রাষ্ট্র বানানো চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জনগণ তা হতে দেবে না। আমরা বাংলাদেশকে আরেকটি কাশ্মীর হতে দেব না। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তা বিতরণ করা হয়। সারা বিশ্ব আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সেটা ২০১৪ ও ২০১৮ কিংবা ২০২৪ সালের নির্বাচন। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ যারা নিজেকে গণতান্ত্রিক দেশ বলে দাবি করে, তারা একটি দলের হয়ে সারা বিশ্বে ওকালতি করছে, অবৈধ নির্বাচনকে জায়েজ করতে চেষ্টা করছে। রিজভী বলেন, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান করে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক তারা চায় না। শুধু চায় বাংলাদেশে একটি দল আজীবন ক্ষমতায় থাকুক আর তাদের তাঁবেদারি করুক। তারা সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো হত্যা করে। সেজন্যই জনগণ প্রতিবাদ করছে, তাদের পণ্য বর্জন করছে।

দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয় দুর্ভিক্ষ বিরাজমান বলে দাবি করেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বাংলাদেশ নাকি কানাডা ইউরোপের মতো উন্নত হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে দেখি মা তার সন্তানকে বিক্রি করতে হাটে নিয়ে গেছেন। চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ শোনা যায়। রাস্তায় এত ভিক্ষুক আমরা কখনও দেখিনি। চারদিকে শুধু আহাজারি আর কান্না দেখতে পাই।

রিজভী বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ সালে যেভাবে বাংলাদেশেকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল, সরকার আজকে দেশকে সে অবস্থায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। দেশে ভয়াবহ ডলার সংকট চলছে। রিজার্ভ ফুরিয়ে আসছে। তিন মাস আমদানি করার রিজার্ভও ব্যাংকে নেই। তারা ১৯ বিলিয়ন ডলারের কথা বললেও ব্যাংকে রিজার্ভ আছে তার চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে পোশাক রপ্তানি ৩০ ভাগ কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পোশাক কারখানা সব বন্ধ হয়ে যাবে। অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর সরকার আক্রমণ করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, তারা সবকিছুর অনুমতি দিলেও ইফতারের অনুমতি দেয় না। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইফতারেও বাধা দেয়া হচ্ছে। আর এটা করেছে তাদের প্রভুদের খুশি করতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *