শাহ আমানত বিমানবন্দর ঘিরে গড়ে ওঠে ছিনতাইকারী চক্র, ৬ জন গ্রেপ্তার
কখনো সাংবাদিক, কখনো কাস্টমস কর্মকর্তা আবার কখনো গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছিলেন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা। তাঁরা অবস্থান করতেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায়। বিদেশফেরত যাত্রী দেখলে তাঁদের তথ্য সহযোগীদের কাছে সরবরাহ করতেন। পরে রাস্তায় ওই যাত্রীদের গাড়ি থামিয়ে মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করতেন এই চক্রের সদস্যরা। চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ মার্চ সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাটহাজারী যাচ্ছিলেন প্রবাসী মোহাম্মদ নুরউদ্দীন আশরাফী (৫৪) ও মো. আবছার (৫০)। নগরের বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় তাঁদের গাড়ির গতিরোধ করেন তিন-চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি। পরে তাঁদের কাছ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে প্রায় ২৬ ভরি সোনার অলংকার, ছয়টি মুঠোফোন ও ল্যাপটপ ছিনতাই করেন তাঁরা।
এ ঘটনায় মোহাম্মদ নুরউদ্দীন আশরাফী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গত বৃহস্পতি ও শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে সাড়ে ৯ ভরি সোনা, ৩টি মুঠোফোন, গণমাধ্যমের স্টিকারযুক্ত মোটরসাইকেল এবং ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন সিফাত (২২), মুজিবুল হাসান তাসির (১৯), মো. শাহাদাত হোসেন (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (৩৩), মো. হানিফ (৩৮) ও মীর আহম্মদ বিপ্লব (৩৫)। তাঁরা নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, আসামিরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাঁরা নিজেদের অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক, কাস্টমস কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিতেন। বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের তথ্য ছিনতাইকারীদের দিতেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাত্রীদের মালামাল লুটপাট করতেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।