Home সারাদেশ মুন্সিগঞ্জে ৮ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুপার বোর্ড কারখানার আগুন
মার্চ ২৫, ২০২৪

মুন্সিগঞ্জে ৮ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুপার বোর্ড কারখানার আগুন

ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট দীর্ঘ সাত ঘণ্টা চেষ্টার পরও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদীতে টিকে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি (রাত ৯টা)। আজ রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে এই সুপার বোর্ড কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত সাত জনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, ইসমাইল, শরীফুল, হিরন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ দুপুর ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির পাটের গোডাউনে আগুন দেখতে পায় কর্মরত শ্রমিকরা। সেখান থেকে আগুন নদীতে নোঙর করে রাখা একটি পাটখড়ি বোঝাই ট্রলারে লেগে যায়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে অগ্নি নির্বাপণের কাজ শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পার্টিকেল বোর্ড, পাটখড়ি, প্লাস্টিকের দরজা ও প্লাস্টিকের পাইপের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে সরু রাস্তা আর পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের।

ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন বলেন, দুপুর ১টা ১২ মিনিটে আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। প্রথমে আমাদের গজারিয়া স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে অগ্নি নির্বাপণের কাজ শুরু করে। ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও ১০টি ইউনিট অগ্নি নির্বাপণের কাজে যোগ দেয়। বিকেল ৪টার দিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ফোম টেন্ডার এবং রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট নিয়ে আসি আমরা। আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছি তবে এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিষয়টি সম্পর্কে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ ব্যাপারে আমরা একাধিক বার তাদের সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।

 

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। দুপুর আড়াইটা থেকে আমি ঘটনাস্থালে রয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে  প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *