Home রাজনীতি ‘পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া ব্যক্তিদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি পরে’
মার্চ ২৫, ২০২৪

‘পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া ব্যক্তিদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি পরে’

ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া ব্যক্তিদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি পরেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৪ মার্চ) ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের ঢাকায় আসা উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া ব্যক্তিদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি পরে। আবার তারা নিজেরাই ইফতারে ভারতীয় পেঁয়াজের পেঁয়াজু খায়।

তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন মেজর হাফিজ। কয়েক দিন আগে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করে এসেছেন তিনি। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা।

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার জন্য অনেকে লাইন দিয়েছিল। হিসাব মেলেনি বলে নির্বাচনে আসেনি- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। এ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জয়নুল আবদীন ফারুক নিজে ছাত্রলীগ করত। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়ার জন্য বিএনপিতে গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নিক। আমি বসে আছি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি ভুটানি বিনিয়োগকারীদের দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। ভুটানের রাজা কুড়িগ্রাম সফর করবেন। চার দিনের সফর শেষে কুড়িগ্রাম দিয়ে সড়কপথে বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাবেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভুটানের রাজা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া রাজার সফরে দুদেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। ভুটানের রাজা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, পদ্মা সেতু, আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করবেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের মাঠের নেত্রীরাও ভারতীয় শাড়ি পরবেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন- এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *