Home জাতীয় ‘কত টাকা মুক্তিপণে বাঁচবে ২৩ জীবন’
মার্চ ১৪, ২০২৪

‘কত টাকা মুক্তিপণে বাঁচবে ২৩ জীবন’

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এই দস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ ২৩ জন নাবিকসহ জিম্মি করেছে। জাহাজটি ইতিমধ্যে তারা সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে কর্মরতরা অডিওবার্তায় জানিয়েছে। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণও চেয়ে বসেছে ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটি। ব্যর্থতায় নাবিকদের একে একে সাবাইকে মেরে ফেরার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের বাংলাদেশি নাবিকদের জিম্মি হওয়ার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোর শিরোনাম বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসি বাংলা। কিছুটা সংযোজন ও বিয়োজন করে দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনের এই আয়োজন।

somalia5

সোমালিয়ার জলদস্যুদের বাংলাদেশি নাবিকদের জিম্মি হওয়ার ঘটনা নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক শিরোনাম ‌‘টাকা না দিলে জলদস্যুরা সবাইকে মেরে ফেলবে’।

লিড নিউজে বলা তুলা ধরা হয়েছে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের অপহরণের সবর্শেষ আকুতি। এবং সমাধানের পথে কীভাবেে এগুবে সরকার। সেসব বিষয়ও জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের বাংলাদেশি নাবিকদের জিম্মি হওয়ার ঘটনা নিয়ে দৈনিক সমকালের শিরোনাম, ‘কত টাকা মুক্তিপণে বাঁচবে ২৩ জীবন’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ মনে করছে, টাকা ছাড়া নাবিকদের মুক্তি মিলবে না।

তাই মুক্তিপণ দেওয়ার পথেই হাঁটছে তারা। তবে মুক্তিপণ কত? কোন প্রক্রিয়া বা কার মাধ্যমে দেওয়া হবে টাকা- এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে।

১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ একইভাবে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়েছিল। সে সময়ও মুক্তিপণ দিয়ে ২৫ নাবিক-ক্রুকে ছাড়িয়ে এনেছিল কেএসআরএম। সেবার ১০০ কোটি টাকার বেশি মুক্তিপণ চেয়েছিল দস্যু দল।

somalia6

ঠিক কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে সে সময় বিষয়টির দফারফা করা হয়, তা গতকালও স্বীকার করেনি কর্তৃপক্ষ। এবারও তারা বলছে না মুক্তিপণের অঙ্ক।

নাবিক জিম্মির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, এখনও তাদের সঙ্গে ফরমালি কন্টাক্ট হয়নি। আমরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে চেষ্টা করছি এবং যেখানে জানানো প্রয়োজন, সেখানে জানিয়েছি।’

জিম্মি নাবিকদের বাঁচার আকুতিকে শিরোনাম করেছে মানবজমিনও।

তাছাড়া, কানাডার উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের খবরকেও প্রথম পাতায় স্থান দিয়েছে পত্রিকাটি। শিরোনাম করেছে ‘ঢাকা ঘুরে যে বার্তা দিয়ে গেলেন কানাডার কনস্যুলার কর্মকর্তা’।

somalia3

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, কানাডা সফরে আগ্রহী বাংলাদেশিদের সংখ্যা আচমকা বেড়ে গেছে।

ভ্রমণ, উন্নত পড়াশোনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন এবং স্কিল মাইগ্রেশন- সব মিলে ঢাকা থেকে কানাডার ভিসা আবেদনে এক ধরনের ‘অস্বাভাবিকতা’ তৈরি হয়েছে! ধরা পড়ছে অসাধু ট্র্যাভেল এজেন্সির জাল-জালিয়াতির ঘটনাও।

বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদনের অস্বাভাবিকতা, জেনুইন আবেদনকারীদের হয়রানির অভিযোগসহ সামগ্রিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে অনেকটা নীরবেই ঢাকা ঘুরে গেছেন কানাডার উচ্চ পর্যায়ের কনস্যুলার টিম।

যার নেতৃত্বে ছিলেন অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক এশিয়া অঞ্চলের ডিরেক্টর টাইলার অ্যারেল। তারা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছেন।

জলদস্যু কবলিত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর অবস্থান নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম Hijacked ship sailing fast to Somali shores

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) বুধবার রাতে জাহাজটির গতিবিধি সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছে তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, এমভি আব্দুল্লাহ বুধবার সন্ধ্যায় সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল।

জাহাজটিকে প্রায় ৫ থেকে ১১ নটিক্যাল মাইল গতিতে সোমালিয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল দস্যুরা। পরবর্তীতে এর গতি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএমএমওএ।

1

তারা একটি আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানি থেকে জাহাজের সর্বশেষ অবস্থানের ছবি পেয়েছে।

ছবিতে দেখা গেছে, জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দরের দিকে যাচ্ছে। গত ৫ ঘণ্টায় জাহাজের গতি বেড়েছে। সম্ভবত জোয়ারের কারণে গতি বেড়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজের বর্তমান গতি প্রায় ১৪ নটিক্যাল মাইল। এ গতিতে চললে জাহাজটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সোমালিয়ায় নোঙর করবে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের বিভিন্ন বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের ভাঙন ঘটনার প্রেক্ষাপট ও এর প্রভাব তুলে ধরে ‘বড় করপোরেটদের ভাঙন উদ্বেগে ব্যাংকাররা’ শিরোনামে প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, প্রথম প্রজন্মের গড়ে তোলা পারিবারিক ব্যবসা দ্বিতীয় প্রজন্মে এসে অংশীদারদের দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। কখনো কখনো তা আদালতেও গড়াচ্ছে।

প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তার উত্তরাধিকারীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। দ্বন্দ্বের মুখে পুরনো প্রতিষ্ঠান ভেঙে তৈরি হচ্ছে ভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

বৃহৎ এসব প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের বড় গ্রাহক হিসেবে ব্যবসা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কোনো কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নানা ব্যবসায় ব্যাংকগুলোর বড় অংকের ঋণ অর্থায়নও রয়েছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, ভাঙনে কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন তারা।

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *