তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওসির বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
একটি চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে হওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার সকালে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা হাটখোলাপাড়ায় প্রথমে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। পরে কয়েকশ বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেন।
২০২৩ সালের ১৪ জুন বিকেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ভুরকা হাটখোলাপাড়া গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা (৪৩) ও ঘেতু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা (৪২) নামে দুই কৃষককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বাদীপক্ষ না রাজি জানিয়ে পুনঃতদন্তের জন্য মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেন।
একই দাবিতে আজ বুধবার সকালে মানববন্ধনে মামলার বাদী ও নিহতের স্বজনরা বলেন, বজলু ও শরিফুলকে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেছিলাম। কিন্তুু মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত না করে আসামিপক্ষের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান মামলার এজাহার থেকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া ৮ জনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। যে কারণে মামলা থেকে ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে আমরা পুনরায় মামলাটি তদন্ত চাই।
মানববন্ধনে বক্তারা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। এই মামলার তদন্ত নিয়ে হেলাফেলার সুযোগ নেই। তদন্তে যা এসেছে, আমরা সেটাই দিয়েছি। তাদের অভিযোগ ছাড়াও ২৬ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তদন্ত সঠিক না হলে এটা সম্ভব হতো না।