পরকীয়া করতে গিয়ে যুবলীগ কর্মী খুন
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জিয়াউর রহমান (৩৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের দাবি করেছে র্যাব। বাহিনীটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হত্যা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৫ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরে টিউবওয়েলের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা আরও বেড়ে যায়। এ ছাড়া হাসান মেম্বারের সার-বিষের দোকানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে মামলাও করেন হাসান মেম্বার। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিয়াউর রহমানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন হাসান মেম্বার।
এ অবস্থায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জিয়াউরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে তানোর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- তানোর উপজেলার লালপুর এলাকার মো. হাবিবুরের ছেলে মো. হাকিম বাবু (৩৪) ও একই এলাকার মো. সাইদুলের ছেলে মো. সুফিয়ান (৩৬), মো. হাবিবুরের ছেলে মূলহোতা মো. আবুল হাসান মেম্বার (৪২), একই এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. শাহীন (২৫) ও মৃত লুৎফরের ছেলে মো. রাশেল (৩০)।