Home অপরাধ কাঠালিয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার।
কাঠালিয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার।
তাইফুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় হওয়ায় মামলায় আসামি গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার করে কাঠালিয়া থানা পুলিশ তাদের সাফল্য দেখিয়ে প্রশংসায় ভাসছে।
০৫ নং শৌলজালিয়া ইউনিয়নের মনির ঘরামীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় হওয়া কাঠালিয়া থানায় মামলা হয়, যার মামলা নং ০৬, তারিখ-৭ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) কে এম রিয়াজ রহমান এর নেতৃত্বে গত ইং ২৪ফেব্রুয়ারী ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত খুলনা, পিরোজপুর সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৪ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন কাঠালিয়া থানার বাশবুনিয়া গ্রামের মনেজ সিকদার এর ছেলে শাহ আলম, একই গ্রামের রাজ্জাক বয়াতির ছেলে পান্না বয়াতি, মঠবাড়িয়া থানার তুষখালী গ্রামের হাকিম খানের ছেলে নুরনবী ও নেছারাবাদ থানার শওকত হাওলাদারের ছেলে রুবেল হাওলাদার ওরফে নাইম। এদের মধ্যে শাহ আলম, পান্না ও নূরনবিকে খুলনা থেকে এবং রুবেল হাওলাদার @ নাইমকে ভাণ্ডারিয়া থানাধীন চরখালী ফেরিঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ২ ভরি ১২ আনা স্বর্ণালংকার, নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে। প্রত্যেক ডাকাত ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষততা স্বীকার করেছে। ডাকাত পান্না বয়াতীর নামে কাঠালিয়া থানা সহ বরগুনার বেতাগী, বামনা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা কয়েছে।
এছাড়া ডাকাত শাহ আলমের নামে কাঠালিয়া থানা সহ বরগুনার আমতলি থানায় ৪টি, বরগুনা সদর থানা, রাজাপুর থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায়, খুন, ডাকাতি সহ খুন সহ ডাকাতির অন্তত ১০ টি মামলা রয়েছে। ডাকাত নুরনবির নামে কাঠালিয়া থানা সহ বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুরের বিভিন্ন থানায় ৫-৭ টি ডাকাতি, দস্যুতা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা রয়েছে। ডাকাত রুবেল হাওলাদার @ নাইমের নামে কাঠালিয়া সহ, ঝালকাঠি সদর থানা, রাজাপুর থানা, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা, ফেনীর সোনাগাজী থানা, বরগুনা সদর থানা, পিরোজপুরের ইন্দুরকানি থানা, বরগুনার বামনা থানা, বরগুনা সদর থানা, বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় খুন, খুন সহ ডাকাতি, দস্যুতা, অস্ত্র মামলা সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত ডাকাত শাহ আলম ও পান্না বয়াতী উভয়ের নামে ০১ টি করে ১২ বছরের সাজা পরোয়ানা কাঠালিয়া থানায় দীর্ঘদিন মূলতবী ছিল।
পান্না, শাহ আলম ও নুরনবীকে ২৬ফেব্রুয়ারী এবং রুবেল হাওলাদারকে ২৭ ফেব্রুয়ারী বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাকাত শাহ আলম বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে এবং লুণ্ঠিত অন্যান্য আলামত উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য ইং ০৬/২/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ২ টায় একদল অজ্ঞাতনামা ডাকাত কাঠালিয়া থানাধীন ০৫ নং শৌলজালিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর কচুয়া(লতাবুনিয়া) সাকিনস্থ প্রবাসী মো: মনির ঘরামীর বিল্ডিং এর পিছনের রুমের জানালায় গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা সদস্যদের জাগিয়ে তাদের হাত, পা, চোখ বেঁধে ঘরের আলমারি, শোকেজের তালা ভেঙে অন্তত ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র লুণ্ঠন করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইং ৭/২/২০২৪ তারিখ কাঠালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ঘটনার পরে ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার ১৮ দিনের মধ্যেই নিজেদের মেধা বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাঠালিয়া থানা পুলিশ মামলার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন।