Home দেশ-বিদেশের যু্দ্ধ রাশিয়ার দ্বিতীয় গোয়েন্দা বিমান ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪

রাশিয়ার দ্বিতীয় গোয়েন্দা বিমান ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

এক মাসের ব্যবধানে রাশিয়ার দ্বিতীয় এ-৫০ সামরিক নজরদারি বিমান ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার রাডার শনাক্তকারী বিমান।

ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখ সারি থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন ও ক্রাসনোদর শহরের মধ্যবর্তী অংশে বিমানটিতে আঘাত হানা হয়।

রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা কানেভস্কয় জেলায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে এবং জ্বলে ওঠা একটি আগুন নিভিয়ে ফেলেছে, এমনটি জানা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইউক্রেনের এই দাবির বিষয়ে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেনি।

রাশিয়া ইউক্রেইনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি শনিবার। এর আগের দিন, শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বিমান ধ্বংসের দাবি করল ইউক্রেন।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর প্রধান মাইকোলা ওলেশ্চুক রাশিয়ার গোয়েন্দা বিমানটি ভূপাতিত করার জন্য বিমান বাহিনীর সদস্যদের ও সামরিক গোয়েন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ক্রাসনোদরের জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ পরে জানায়, কনেভস্কি জেলার ত্রুদেভয়া আর্মেনিয়া গ্রামের কাছে একটি আকাশযান বিধ্বস্ত হয়েছে আর সেখানে লাগা একটি আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি তারা।

এদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সমর্থক একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল ধারণা দিয়েছে, বিমানটি হয়তো নিজেদের গুলিতেই ভূপাতিত হয়েছে। কারা এটিকে গুলি করেছে ‘এই মুহূর্তে’ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তারা।

এর আগে ১৪ জানুয়ারি রাশিয়ার আরেকটি এ-৫০ সামরিক নজরদারি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল ইউক্রেন।

এ-৫০ নজরদারি বিমান রাশিয়ার জঙ্গি বিমানের জন্য হুমকি হয়ে থাকা শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য লক্ষ্য শনাক্ত করে থাকে। এ ধরনের একটি বিমান তৈরিতে কয়েকশ’ কোটি টাকা ব্যয় হয়। বর্তমানে রাশিয়ার এ ধরনের ছয়টি বিমান আছে বলে ধারণা করা হয়।

সম্প্রতি ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণের সামনে টিকতে না পেরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর আভদিভকা ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেইনের বাহিনী। রাশিয়ার বাহিনীগুলো শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক আক্রমণ শুরু করেছিল রাশিয়া। তারপর থেকে দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই দুই বছরে ইউক্রেনের বহু শহর ধ্বংস হয়েছে আর দুপক্ষের কয়েক লাখ সেনা ও বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *