কন্ডিশনে পণ্য পাঠিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারনা
মোঃ জুবায়ের হোসাইন
উপজেলা প্রতিনিধি, হাকিমপুর, দিনাজপুর।
আমি মোঃ জুবায়ের হোসাইন গেলো মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালবেলা ইমোতে একটি পেন্টিং বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখতে পাই।
বিষয়টি আমি ইগনোর করলেও প্রতারক তার বিশাল ফাঁদ পেতে রেখেছিলো আমার জন্য।
প্রতারক আমাকে ভিডিও কল দিলে আমি সরল মনে কলটি রিসিভ করি। তিনি আমাকে তার রুমের মধ্যে পেন্টিং গুলো দেখাচ্ছিলেন। ভিডিও কলে তা স্পস্ট না হওয়ায় আমি পেন্টিং এর ছবি পাঠাতে বললাম। তিনি আমাকে কপিরাইট আইন বুঝাতে লাগলো। আমি সরল মনে তার পেন্টিং দেখে যাই।
সেদিন বিকেলে আবার তিনি আমাকে কল করেন। আমি কল রিসিভ করলাম। তিনি আমাকে আগের বারের চেয়েও আরো সুন্দর সুন্দর পেন্টিং দেখাতে লাগলেন।
এবার আমি আর বিষয়টি ইগনোর করতে পারলাম না লোভে পড়ে ৪ টি পেন্টিং অর্ডার করলাম। তিনি সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পেন্টিং পাঠাতে রাজি নন। তিনি কৌশলে আমার বিশ্বাস অর্জন করেন এবং বুকিং স্বরুপ আমি নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে প্রতারক কে বিকেল ৩ টা ৪৫ মিনিটে ২০৩০টাকা প্রদান করি।
তিনি সেইদিন সন্ধ্যায় আমাকে ভিডিও কলে পার্সেল করে দেখায় এবং আনুমানিক ৭ টার দিকে আমার বুকিং কনফার্ম করেন সুন্দরবন কুরিয়ারে কন্ডিশনের মাধ্যমে।
কন্ডিশনের এমাউন্ট ছিলো ৮ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ সহ ৮০৮০ টাকা।
প্রতারক এতটাই এডভান্স যে সে আমার সাথে প্রাইভেট চ্যাট করেছে যে চ্যাট এর মেয়াদ ছিলো ২৪ ঘন্টা। প্রাইভেট চ্যাট হওয়ার কারণে আমি চ্যাটিং এর প্রুফ নিতে পারছিলাম না। প্রাইভেট চ্যাটিং এর বিষয়টি আমি আজকে প্রতারিত হওয়ার পর ক্লিয়ার হয়ে গেলাম কেনো প্রতারক ২৪ ঘন্টা মেয়াদে প্রাইভেট চ্যাট করেছিলো আমার সাথে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৬ মিনিটে পার্সেল রিসিভ করে পেন্টিং এর বিপরীতে দুইটি নোটবুক রিসিভ করি। এরপরে প্রতারকের সাথে যোগাযোগ করতে আমি ব্যর্থ হই।
আমার মতো এমন হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত অনলাইনে প্রতারিত হচ্ছে।
আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের রক্ত পানি করে উপার্জিত টাকা এইভাবেই ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতারকচক্র।
আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
প্রতারকের নাম্বার:
ইমো 01577078917
নগদ 01729847704
কন্টাক্ট 01922-434329