বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বেহাল অবস্থা দেখে হতাশ ক্রীড়ামন্ত্রী
একটা সময়ে দেশে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম বলতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামই ছিল। সেখানেই হতো ক্রিকেট এবং ফুটবলের খেলা।
মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম হওয়ার পর ক্রিকেট চলে যায় মিরপুরে। ফুটবলের জন্য নির্ধারিত হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম আধুনিকায়ন করা হলেও সেকেলেই পড়ে আছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার পর আজ প্রথম গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন।
এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্টেইডয়াম পরিদর্শনে যান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ। মন্ত্রীর সামনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বসতি আর্কিটেক্ট।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হয়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান। ‘জলকামান’ স্প্রিঙ্কলার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের তোপের মুখে পড়েন তিনি।
বসতি আর্কিটেক্টের প্রতিনিধি সাংবাদিকদেরও তোপের মুখে পড়েন। সংবাদ কর্মীদের মতামত না নিয়ে সংস্কার করতে থাকা প্রেসবক্সের সামনে চারটি বিশাল স্তম্ভ বা পিলার বসিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই স্তম্ভের কারণে সাংবাদিকদের মাঠের খেলা দেখা নিয়ে সমস্যার কথা জানানো হয় মন্ত্রীকে। প্রেসবক্সের সামনে স্তম্ভ দেখে নিজেও বিস্মিত পাপন।
মাঠ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই যে প্রেসবক্স নিয়ে এত কথা হচ্ছে, এ কথাটা আগেই মাথায় আসা উচিত ছিল। আমারও মনে হয়েছে, এ ধরনের পিলার প্রেসবক্সের সামনে আমি সাধারণত কখনো দেখি নাই। যদি পরিবর্তন করা সম্ভব হয় দেখব, সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয় সেটা চেষ্টা করব।’