Home অপরাধ নড়াইলে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪

নড়াইলে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম

নাহিদ হাসান মুন্না
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন- মশাঘুনি গ্রামের নিজাম শেখের স্ত্রী লাবনি আক্তার (৪৫) এবং তার মেয়ে ময়না বেগম (২৫)।

ভুক্তভোগী ও পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মশাঘুনি গ্রামের নিজাম শেখের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের নাজিম উদ্দিন দেওয়ান এর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে বুধবার সকালে নাজিম শেখের বাড়িতে গিয়ে তার কন্যা ময়না বেগমকে পিটিয়ে আহত করেন প্রতিপক্ষ নাজিম দেওয়ান, তার স্ত্রী বিউটি বেগম এবং ছেলে আরিফ দেওয়ানসহ আরো অজ্ঞাত ৮/৯ জন। পরে দুপুরের দিকে ময়নাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার মা লাবনি বেগম বাড়ি ফিরলে তারা আবারো এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতর লাবনি বেগম বলেন, নাজিম দেওয়ান ও তার স্ত্রী ছেলে মিলে প্রথমে আমার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে আমি বাড়ি ফিরলে আমাকে কুপিয়ে আহত করে।
 ময়না বেগম বলেন, সকালে আমাদের বাড়িতে এসে নাজিম উদ্দিন দেওয়ান ও তার স্ত্রী ছেলেসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে পরে আমাকে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপরে আমার মা বাড়িতে গেলে দুপুরে আমার মা কে ও তারা কুপিয়ে যখম করে আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন দেওয়ান নিজে মারপিটের স্বীকার হয়ে আহত হয়েছেন দাবি করে হাসপাতালে ভর্তি হন। এবং তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে অভিযুক্ত নাজিম দেওয়ানের আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টিকে নাটক বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী লাবনী বেগমের ছোট মেয়ে টুকটুকি বলেন, প্রথমে আমার বোনকে মারছে। আমরা যাওয়ার পর আমাদের ওপরও আক্রমণ করে। তারপর নিজে নিজেই অভিনয় করে মাটিতে শুয়ে পড়ে, আইসে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *