খাগড়াছড়িতে সাইবার নিরাপত্তা ও ইভটিজিং বিষয়ক কর্মশালা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুলিশের আয়োজনে সাইবার নিরাপত্তা ও ইভটিজিং বিষয়ক সচেতনতা মূলক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) বিকালে “সচেতন রই- সাইবার স্মার্ট হই” স্লোগানে খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস্) মোঃ জসীম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার)।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ তফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রানু চাকমা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তানভীর হাসানসহ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও সদর থানার পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।কর্মশালায় বিদ্যালয়ের পক্ষে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রানু চাকমা ও সিনিয়র শিক্ষক চম্পানন চাকমা। এসময় তারা বলেন, আমাদের ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের আসার পথে শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিং সহ সাইবার ক্রামে শিকার হয় বলে অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে। বিদ্যালয়ের আসার পথ ‘বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল মোড়, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বাসভবন বাড়ির সড়ক মোড় এবং বিদ্যুৎ অফিস রোড’ শ্লীলতাহানি হওয়ার অন্যতম এলাকা। এসব বন্ধ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে সাইবার নিরাপত্তা ও ইভটিজিং সহ বিভিন্ন সমস্যা যথাসাধ্য সমাধানের আশ্বাস দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আমার কোন মেয়ে নেই, আজ থেকে এ বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী আমার মেয়ে। তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পুলিশ সুপারের মেয়ে বলে’ পরিচয় দিতে আহবান করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে অনুমতি ছাড়া ছবি তুললে, ইভটিজিং সহ হয়রানি শিকার হলে’ কাউকে মাফ দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় যেসব স্থানে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করা হয়েছে, সেসব স্থানে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আসার সময় এবং ছুটির সময় পুলিশের মোবাইল টিম রাখার জন্য সাথে সাথে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।