Home বানিজ্য আমানত বিমা প্রিমিয়ামের তথ্য ভুল দিলে জরিমানা
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪

আমানত বিমা প্রিমিয়ামের তথ্য ভুল দিলে জরিমানা

তফশিলি ব্যাংকগুলোকে বছরে দুবার আমানত বিমার প্রিমিয়ামের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। যদি কোনো ব্যাংক এ তথ্য পাঠাতে বিলম্ব বা ভুল করে তাহলে জরিমানা গুনতে হবে।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট। এতে বলা হয়, দেশের ক্ষুদ্র আমানতদারিদের আমানতের সুরক্ষা ও সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ১৯৮৪ সাল থেকে আমানত বিমা পদ্ধতি তথা ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স সিস্টেমস চালু আছে।

বর্তমানে ‘ব্যাংক আমানত বিমা আইন, ২০০০’ অনুযায়ী দেশে কার্যরত সব তফশিলি ব্যাংক আবশ্যিকভাবে আমানত বিমা ট্রাস্ট তহবিলের সঙ্গে বিমা করা আছে। এই আইনের ৫নং ধারা অনুযায়ী, সব তফশিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে আলোচ্য তহবিলে প্রিমিয়াম জমা প্রদান করে। প্রিমিয়াম হিসাবায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে প্রতি ৬ মাসে তফশিলি ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী আমানত বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণী তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

সংগৃহীত তথ্য প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত প্রিমিয়াম হার প্রয়োগ করে ব্যাংকগুলোর জন্য আবশ্যিকভাবে প্রদেয় প্রিমিয়ামের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। ফলে ব্যাংকগুলোর পাঠানো আমানত বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণী তথ্যগুলোর সুনির্দিষ্টতা নিশ্চিত করার জন্য ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে আগে জারি করা এ সংক্রান্ত সব সার্কুলার লেটার একীভ‚ত করে এই মাস্টার সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।

মাস্টার সার্কুলারে বলা হয়, সব তফশিলি ব্যাংককে নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য প্রস্তুত করতে হবে। প্রস্তুত করা সব তথ্যের সফট কপি এবং হার্ডকপি দাখিল করতে হবে। তফশিলি ব্যাংকগুলোকে জানুয়ারি থেকে জুন ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাবের স্থিতির ভিত্তিতে যথাক্রমে ৩১ জুলাই এবং ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট আগের বছরের তথ্য পাঠাতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য সংবলিত বিবরণী দাখিল করলে শাস্তি আরোপ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *