প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
জয়পুরহাটে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় এ চক্রের কাছ থেকে ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নুরে আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উচাই কলেজের অধ্যক্ষ পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটা এলাকার আনিছ উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী (৫৩), বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইশান ইমতিয়াজ হৃদয় (৩০) ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হরিনগাছী এলাকার আরজ আলীর ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন (২৯)।
পুলিশ সুপার বলেন, দেশের ৩টি বিভাগে আগামী (২ ফেব্রুয়ারি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে গোপন সংবাদে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি জালিয়াতি চক্র জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রার্থীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা করে নেয় এ চক্রের সদস্যরা। তারা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া নামে প্রতারণা করছিল। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল পাঁচবিবি থানা এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে। পরে চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি প্রতারক চক্রের সঙ্গে আরও ৩-৪ জন জড়িত আছে। তারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র, চেক, এটিএম কার্ড, বিভিন্ন প্রকারের ডিভাইস, ৬টি মোবাইল ফোন, সিম, এন্টিনা, এয়ার পট, ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এই প্রতারক চক্রটি রাজশাহী বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।