সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে রইল টাইগার যুবারা
রোহানাত দোলা বর্ষণের বোলিং তাণ্ডবে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রান তাড়া করতে নেমে জিসান আলম ও আরিফুলের ইসলামের অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। দাপুটে এই জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের আশা টিকে রইল।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ব্লুমফন্টেইনের মাংগুয়াং ওভালে ৪৯.৫ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয় নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ২৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে বাংলাদেশ।
১৭০ রানের জবাবে শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৭০ বলে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন শিবলী ও জিসান। ১৬ রানে আউট হন ডনহাতি ওপেনার শিবলী। আরেক ওপেনার জিসান আলম রানের গতি সচল রাখেন। ৪৩ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৫ রান করেন জিসান। ৯৩ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান রিজওয়ানও। তবে আরিফুলের ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ২৯ রানে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ৩ উইকেট তুলে নেয় জুনিয়র টাইগাররা। চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের জুটিতে নেপালকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক দেব খানাল ও বিশাল বিক্রম কেসি। দলীয় ৯১ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৩৫ রানে আউট হন নেপাল অধিনায়ক। ১২১ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় নেপাল।
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ / নেপালকে ১৬৯ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ
বিশাল বিক্রম ও সুবাশ বান্দারি ছাড়া বাকি সবাই ব্যর্থ হন। বর্ষন ও শেখ জীবনের বোলিং তোপে ১৪২ রানে নবম উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার সমুক্ষীণ হয়ে নেপাল। কিন্তু শেষ জুটিতে মূল্যবান ২৭ রান যোগ করেন সুবাশ বান্দারি ও দূর্গেশ গুপ্ত। বান্দারির ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৮ রান এবং গুপ্ত ৯ রান করেন।