পেঁয়াজের কেজি আবারও ১০০ টাকা ছাড়াল
উৎপাদন মৌসুমে প্রতিবছর দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম কম থাকে; কিন্তু এ বছর তার ব্যতিক্রম। ভরা মৌসুমে ফের পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় উঠেছে। মাঝখানে কয়েকদিন ৭৫ বা ৮০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা বা তারও বেশি দামে। এবার অবশ্য খুচরা ব্যবসায়ীরা শীতের অজুহাত দিচ্ছেন। পাশাপাশি চাহিদার তুলনায় সরবরাহের দোহাই দিচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার বারবার ব্যবসায়ীদের রমজান মাসের বিষয়ে সতর্ক করছে। ফলে রমজানের আগেই ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরে রমজানে দাম না বাড়িয়ে বাহবা নেবে। পাশাপাশি সরকারি তথ্য ও মাঠ তথ্যের পার্থক্যের কারণে কারসাজি চক্র বাজারে সংকট তৈরি করে ভোক্তার পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকারের কঠোরতা ঘোষণায় সীমাবদ্ধ থাকার সুযোগে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে নিত্যপণ্যের দাম ঠিক করে নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে সরকারের অনুরোধে কোনো একটি পণ্যের দাম দু-এক টাকা কমালে অন্য পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর বাজার ও পাড়া-মহল্লায় ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। দুদিন আগে একই মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। তবে গত মাসে একই মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। যদিও গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
একইভাবে আমদানি পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সপ্তাহের শুরুতে পাওয়া যেত ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। গত মাসের এই সময়ে দাম ছিল ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। আর গত বছরের এই সময়ে বিক্রি ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কজি দরে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কারণ ছাড়াই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। সরকার রোজার সময় আমদানির উদ্যোগ নেওয়ায় তখন পেঁয়াজের দাম কমে যাবে, এ আশঙ্কায় মজুতদাররা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে এখন আগাম লাভ তুলে নিচ্ছেন।