স্বতন্ত্ররা দলের লোক হলেও সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা আমাদের নিজেদের লোক হলেও তাদেরকে সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদে ক্ষমতাসীন দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে স্বতন্ত্র থাকার লাভ আছে। কারণ, সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বিলের ওপর সমালোচনা বা দোষ-ত্রুটি তুলে ধরেন না। স্বতন্ত্র সদস্যরা এই কাজ ভালোভাবে করতে পারবেন। এতে দেশও লাভবান হবে।’
তবে, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা তাদের প্রাপ্য সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের ভার প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আনুপাতিক হারে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে স্বতন্ত্রদের প্রাপ্য ১০টি আসন। আর আওয়ামী লীগের ২২৩ আসনের বিপরীতে প্রাপ্য ৩৭টি আসন। অর্থাৎ সব মিলে আওয়ামী লীগের এখন প্রাপ্য আসনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭টিতে। জাতীয় পার্টি ২ ও অন্য তিন দল জোট করলে তারাও একটি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেটি না হলে ওই আসনেও মনোনয়ন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের পক্ষে মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই আওয়ামী লীগের। কেউ যুবলীগ, কেউ আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠন করেন। একাদশ সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবারও ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে এই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার কথা বলেন। এ সময় অন্য সদস্যরাও ‘হ্যাঁ’ বলে সম্মতি জানান।’
বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণভবনের ফটকের সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই থাকবেন। তবে তাঁরা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবেন। এই একটা বিষয় আমাদের সংসদ নেতা, দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে বলেছেন।’