দেশ পরিচালনায় সরকারের ‘বৈধতা’ নেই: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ভোটের নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে শুক্রবার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সভার প্রথম দিনে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নিরঙ্কুশ করতে গিয়ে সরকার ও সরকারি দল সব সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভঙ্গুর ও অনুগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।’
সাইফুল হক বলেন, ‘বাস্তবে এক লুটেরা মাফিয়াতন্ত্র দেশকে আজ দখল করে ফেলেছে। ভোটের নামে দেশের জনগণকে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে যে অপমান করা হচ্ছে সমকালীন বিশ্বে এরকম উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর।’
তিনি বলেন, ‘নজিরবিহীনভাবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনি তামাশা প্রত্যাখ্যান এবং বর্জন করে দেশের মানুষ সরকার ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা জানিয়েছে। এটা বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক বিজয়।’
সাইফুল হক বলেন, ‘৭ জানুয়ারির গণঅনাস্থার পর বাস্তবে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় সরকারি দলের আর কোনো রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই। জনম্যান্ডেটহীন এই সরকারকে প্রলম্বিত করারও কোনো অবকাশ নেই। এখন এই গণঅনাস্থাকে রাজপথে গণসংগ্রাম আকারে বিস্তার ঘটানোই বিরোধী দলগুলোর প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য।’
তিনি বিগত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্রুত আন্দোলন পুনর্গঠনে এগিয়ে আসতে সব বিরোধী দল ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী, সজীব সরকার রতন, নির্মল বড়ুয়া মিলন, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, নীলুফার ইয়াসমিন, আবুল কালাম আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।