স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর মামলায় তরুণ গ্রেপ্তার
সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় চার ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর জেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসামির নাম হারুন আহমদ (১৯)। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার ১ নম্বর নিজপাট ইউনিয়নের গৌরীশঙ্কর গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পুলিশের বিশেষ অভিযানে জৈন্তাপুর পূর্ব বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, হারুন গত ১৯ জানুয়ারি রাতে হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি জিপ গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে ভাঙচুর শেষে জিপ গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।
১৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার ২ নম্বর লক্ষ্মীপুর এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় সিলেট জেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মী নিহত হন।
প্রাইভেটকার খাদে পড়ে ৪ ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসায় অবহেলা ও সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ, ডাক্তার ও স্টাফ কোয়ার্টার, অ্যাম্বুলেন্স ও একটি সরকারি জিপ গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।