Home সারাদেশ ঝালকাঠিতর নলছিটিতে তীব্র শীতে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি।
জানুয়ারি ২৪, ২০২৪

ঝালকাঠিতর নলছিটিতে তীব্র শীতে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি।

তাইফুর রহমান, ঝালকাঠি(নলছিটি) প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে কনকনে শীতে জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসের মাঝে ফুটপাতে এই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
শীতের শুরু থেকে এই ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হলেও শীতের প্রকোপ বেশ ক’দিন ধরে কিছুটা বেশি হওয়ার কারণে এই চাহিদা কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলায় বিগত বছরের দিনগুলোর চেয়ে এই বছর শীতের পিঠা বেঁচা-বিক্রি বেড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পরপরই শহরের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনাল ও এর আশেপাশে এলাকায় অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে।
বাঙ্গালিয়ানা ঐতিহ্যের সাথে নবান্ন ও শীতকাল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদিও বর্তমানে শীতকালে সে পিঠা ও পায়েসের আমেজ দিন-দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে ভাপা পিঠা ছাড়া শীতকাল কল্পনা করা অসম্ভব। বাড়িতে শীতকালে পিঠা তৈরির ধুম কমলেও ব্যবসায়িক ভাবে বেড়েছে এর উৎপাদন। মৌসুমী বিক্রেতার পাশাপাশি নারীরাও এই পেশায় যুক্ত হয়েছেন।
পিঠা ব্যবসায়ীরা প্রতি পিছ ভাপা পিঠা ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি করেন ও চিতই পিঠা ৫-১০টাকা দড়ে বিক্রি করছে। এছাড়াও পাটিসাপটা পিঠা ২০-৩০ টাকা দড়ে বিক্রি হচ্ছে। দিনে ৩০০-৪০০ টি পিঠা বিক্রি করে তাদের দৈনিক মুনাফা থাকে ৮০০-১০০০ টাকা। এছাড়াও নারী পিঠা বিক্রেতা হাজেরা বেগম বলেন কাচিখোচা পিঠা,পাটিসাপটা পিঠা প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিক্রি করি বর্তমান দুদিন ধরে ক্রেতার চাহিদা বেড়েছে।
ব্যবসার অভিজ্ঞতার আলোকে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জানান, আগে লাভ বেশি হতো কিন্তু বর্তমানে বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আগের মতো আর লাভের দেখা মিলছে না। তবুও শীতকালীন এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। জেলা শহর ছাড়াও নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার হাট বাজার গুলোতেও পিঠা বিক্রির ধুম পরেছে।
এদিকে, সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ দাম বাড়ালেও পিঠার মান ও আকার কোনটাই বাড়েনি বরং দিন দিন ছোট হচ্ছে। কিন্তু বাড়িতে পিঠা তৈরির বাড়তি ঝামেলা এড়াতে তারা বাধ্য হয়েই পিঠা ক্রয় করছেন।
দাম ও মানের আলাপ-আলোচনায় সগরম থাকলেও শীতকালে খেজুরের গুড়ের ভাপা ও অন্যান্য পিঠা-পায়েস আবহমান কাল ধরেই বাঙ্গালির শুধু রুচিই নয় বরং তা ঐতিহ্যও বটে। উৎসব-পার্বনে পিঠা ছাড়া বাঙালীয়ানা যেন অসম্পূর্নই রয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *