Home সারাদেশ দীর্ঘ ৮ দিন পর সূর্যের দেখা কুড়িগ্রামে।
জানুয়ারি ২০, ২০২৪

দীর্ঘ ৮ দিন পর সূর্যের দেখা কুড়িগ্রামে।

মোঃ মশিউর রহমান বিপুল

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি-

টানা ৮ দিন পর কুয়াশার চাদরে ঢাকা কুড়িগ্রামে অবশেষে সূর্যের মুখ দেখা গেছে।

শুক্রবার(১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে জেলাজুড়ে রোদের ঝলকানি দেখা দেয়ায় জনমনে স্বস্তি দেখা গেছে।

সূর্যের আলো পেয়ে শহরগুলোর বাসা বাড়ির সামনে অনেকেই রোদকে উপভোগ করছেন। অধিকাংশ বাসা বাড়ির গৃহিনীরা ৭দিনের জমানো কাপড় ধুয়ে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন । যেন রোদ উঠায় এক উৎসব বিরাজ করছে।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে লক্ষ্য করা গেছে অন্যান্য দিনের তুলনায় কুয়াশার দাপট কম ছিলো। গতকাল বৃহঃবার দুপুর ১টার পর ক্ষানিকটা সূর্যের দেখা মিললেও পরে তা আবার কুয়াশায় মিলিয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে সূর্যের আলোয় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে উত্তরের এই শীতের শহর কুড়িগ্রামে। সময়মতো জেলার নৌ-বন্দরগুলো থেকে আজ নৌযানগুলো ছেড়ে গেছে। জেলার আন্তনগর ট্রেনটি সঠিক সময়ে ছেড়েছে। অন্যদিনের মতো আজ হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়নি সড়ক পথের যান-বাহন গুলোকে।

শহরের পুরাতন থানা পাড়ার বাসিন্দা উত্তম কুমার বলেন,’আজ টানা ৭-৮ দিন পর রোদের দেখা মিললো। দোকানদারি করেও অনেক ভালো লাগছে,এতের শীতের জড়োতা কিছুটা কমলো।’

সদরের হরিকেশ পাড়ার বাসিন্দা ববিতা দাস বলেন,’কনকনে ঠান্ডার কারণে কয়েকদিন থাকি রোদের দেখা মিলছিলো না। বাড়িতে এক গাঁদা ময়লা  কাপড় জমে আছে। আজ সবগুলো কাপড় ধুয়ে রোদে শুকাতে দিলাম।’

সুজামের মোড়ের চা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,’ গেলো শুক্রবার সকালবেলা ঠান্ডাতে দোকানদারি করি নাই। আজ রইদ উঠায় সকাল সকাল দোকান খুলছি।’

তবে রংপুর বিভাগের কিছু জায়গায় শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামেও আগামী ২২ তারিখের পর থেকে ফের মৃদু শৈত্য প্রবাহ থাকতে পারে বলে জানায় কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের গতি ঘন্টায় ৬ কিলোমিটার ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রর্তা ৯৮ শতাংশ। জেলায় ২২ জানুয়ারি সোমবার পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যাবে। পরে আরো একটি শৈত্য প্রবাহ দেখা দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *