Home রাজনীতি সাজা বহালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেলেন আমান
জানুয়ারি ১৪, ২০২৪

সাজা বহালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেলেন আমান

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি পেয়েছেন বিএনপির কারাবন্দী নেতা আমানউল্লাহ আমান।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমানউল্লাহ আমানের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) আজ রোববার মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজমুল হুদা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায় পর্যালোচনার জন্য আপিল বিভাগ ছয়টি দিক বিবেচনায় আমানউল্লাহকে আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে জামিন দেননি। আপিলকারীর (আমান) খরচে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরি করতে বলেছেন।

আমানের অন্যতম আইনজীবী নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, লিভ টু আপিলে আমানউল্লাহর জামিনের আবেদনও ছিল। আপিল বিভাগ আপাতত তাঁর জামিন আবেদন বিবেচনা করেননি। পেপারবুক প্রস্তুত করতে বলেছেন। পেপারবুক প্রস্তুতের পর আমানউল্লাহর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

ওই মামলায় ১৩ বছর কারাদণ্ড দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আমানউল্লাহ আমানের আপিলের ওপর পুনঃ শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩০ মে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রাখা হয়। এই রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতের গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে আমানউল্লাহ আমানকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন আমানউল্লাহ আমান, সঙ্গে জামিন আবেদনও ছিল। লিভ টু আপিলটি গত ৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত শুনানির জন্য লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাবেরা আমান জামিনে আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *