খণ্ডকালীন চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৮
খণ্ডকালীন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একটি প্রতারক চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আজমপুর, ঢাকার উপকণ্ঠ সাভার ও জামালপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, স্মার্ট মোবাইল ফোন, সিম ও ব্যাংক হিসাবের কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইমাদুল ইসলাম (২১), আবু বক্কর সিদ্দিকি ওরফে শান্ত (২১), জাবের আহাম্মেদ (৩১), হোসনাহার আক্তার ওরফে হেমা (২৩), রাকিব মোল্লা (১৯), মোহাম্মদ আলী (১৯), মো. সোলাইমান (১৯) ও আবু সাঈদ ওরফে সুমন (৩৩)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ১১ নভেম্বর দুপুরে এক ভুক্তভোগীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অনলাইনে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে বলা হয় তাদের দেওয়া লিংকে প্রবেশ করে ভোট দেওয়াসহ রিভিউ করার কাজ এবং প্রতিটি কাজের জন্য তাকে ১৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। ভুক্তভোগী সেসব কাজ করলে তারা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড টাস্কস ৪৪৪ নামের একটি গ্রুপে তাঁকে যুক্ত হয়ে কাজের বিনিময়ে টাকা নিতে বলে। ভুক্তভোগীকে পরে তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১৫০ টাকা পাঠাতে বলেন। ভুক্তভোগী চাহিদামতো সব করলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ভুক্তভোগী ব্যক্তির বিশ্বাস অর্জনে বিভিন্ন সময় তাঁর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৭ হাজার ৮৯৫ টাকা পাঠায়।
গত বছরের ১১ নভেম্বর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ওই ভুক্তভোগীকে তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কাজের কথা বলে ৯ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। তারা সি ফাইন্যান্স নামের ওয়েবসাইটে ঢুকে ভুক্তভোগীকে একটি হিসাব খুলতে বলেন। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি বলে ভুক্তভোগীর হিসাবের টাকা তারা আটকে দেয় এবং কাজ শেষ করতে আরও ৩৬ হাজার টাকা বিনিয়োগের জন্য পাঠাতে বলেন। ভুক্তভোগী তা দিতে অস্বীকার করলে অন্যান্য সদস্যের অনুরোধে তিনি ৩৬ হাজার টাকাসহ মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা পাঠান। পরে ভুক্তভোগী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা সি-ফাইন্যান্স এবং লোন অ্যাপের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা বাংলাদেশি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি লোকজন জড়িত। তারা মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা খণ্ডকালীন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে। এসব প্রতারণায় চীনা নাগরিকেরা সহযোগিতা করছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।