ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রায় বাংলাদেশের বিপর্যস্ত মানবাধিকারের প্রতীক
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি শ্রম আদালত। এ রায়কে বাংলাদেশে মানবাধিকারের বিপর্যস্ত অবস্থার প্রতীক বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার (১ জানুয়ারি) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবরুদ্ধ দশার প্রতীক। বাংলাদেশে সরকার তার সমালোচকদের দমিয়ে স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে।
মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারকাজ যে অস্বাভাবিক গতিতে শেষ হয়েছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম আদালতের মামলার সম্পূর্ণ বিপরীত বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংগঠন।
এ রায় ইউনূসের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি ধরন উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শ্রম আইন ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। দেওয়ানি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসসহ তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম শুরু করা শ্রম আইন ও বিচারব্যবস্থার একটি স্পষ্ট অপব্যবহার।
উল্লেখ্য, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে এই মামলার রায় ঘোষণার পর জামিন পেয়েছেন তিনি।