১৪, ১৮–তে কামডা আমরাই কইরা দিছিলাম: জাহাঙ্গীর
২০১৪ ও ১৮–তে কামডা আমরাই কইরা দিছিলাম। এইবার ক্যামনে আটকাইতে হয় হেইডা আমরা জানি। হ্যারা কী করতে চাইতেছে, সব জানি। এইডা দেখবেন, ৭ তারিখে প্রমাণ কইরা দিমু।’
গত শনিবার দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের নির্বাচনী সভায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ‘এইডা জনগণের ভোট। দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক সবারই এইহানে চোখ আছে। আমরা বইলা দেই, ভোট বাক্স কন, আর রেজাল্ট কন, এইহানে কোনো দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে না। আপনারা শুধু ভোট কেন্দ্রে যাইয়েন আর ভোটটা দিয়েন। রক্ষা ক্যামনে করতে হয়, হেইডা আমরা দেইহা দিমু।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অনেকেই বলে, ভোট দিব ট্রাকে, যাইবোগা হের মার্কায়। আমি আপনাগো বইলা যাই। ২০১৪ করেছি, ২০১৮ করছি, এটা ২০২৪ সাল। আমার মা জায়েদা খাতুন একজন নারী। কোনো পার্টি ছিল না, কোনো দল ছিল না, একটা বড় নেতা ছিল না। রাষ্ট্রের যন্ত্র সব ব্যবহার করছিল। একটা ভোটও চুরি করতে পারে নাই। এটা তো পুরুষ মানুষের ভোট। বাক্সের মধ্যে হাত দিব আর চুরি ছিনতাই করব, হেইডা পারব না। ’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছিল সবাই, তারা কইছে, এইবার একটু স্বতন্ত্রকে ঘুরাইয়া দেন। প্রধানমন্ত্রী কইছেন, ১৫ বছর আমি দেখছি। আমি ১৫ বছর দেখছি মানুষকে কী সার্ভিসটা দিছেন, এইবার সেই পরীক্ষাটা জনগণকে দিয়ে আসেন। পরে গেছে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের কাছে। গিয়া কইছে স্বতন্ত্ররে আর জাহাঙ্গীররে একটু থামায়া দেন। হ্যা কইছে, আপনি যদি মন্ত্রী হইয়া স্বতন্ত্রকে ভয় পান, তাইলে নির্বাচনে দাঁড়াইলেন কেন। ’
জাহাঙ্গীর আলমের এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার এক দিনে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের সমর্থনে কালিয়াকৈর উপজেলায় ১১টি পথসভা করেন তিনি। প্রতিটি সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, আমরা জাহাঙ্গীর আলমকে থামানোর জন্য কোথাও যাইনি। আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে, দলের কাছে গিয়ে থাকি তাহলে সে কাউকেই মানে না। এটাই বুঝাতে চাইছে। যাহোক তার কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাই না। তার মুখে যখন যা আসে, তা-ই বলেছে।