ডাকাতির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, আ.লীগ নেতা খুন
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে, এ ঘটনায় ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
নিহত মোস্তফা কামাল তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান আরও জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মোস্তফা কামালকে। ঘটনার পর দিন ১৯ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় হত্যা মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করেন।
নিহত মোস্তফা কামাল ও মামলার তিন আসামি সাইদুল (৩৬), নাজিম উদ্দিন (৩৯) ও মো. মাইন উদ্দীন একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা আছে। কিছুদিন আগে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মোস্তফা কামালের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়। এর জেরে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দীন মোস্তফা কামালের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলার সময় সাইদুল ও নাজিম উদ্দীন মিলে মোস্তফা কামালকে ঘাড়ে, মাথায় ও কপালে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আসামি নাজিম উদ্দীনকে ও রুমন বেপারি সুমনকে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, মো. নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া।