বিএনপির কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ, আমাদের সাথে জনগণ : কাদের
বিএনপির কাছে আছে অস্ত্র-গোলাবারুদ, আর আমাদের সাথে আছে জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে রাসেল স্মৃতি সংসদ চত্বরে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে অপ্রচার করছেন তাদের জবাব দিতে হবে। যারা বাস-ট্রেনে আগুন দিচ্ছে, যারা মানুষ পোড়াচ্ছে তাদের বিচার হবে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে বর্বর নির্যাতন করছে, তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি একই কায়দায় বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে চায়, লাশের রাজনীতি করতে চায়। মোস্তাক-জিয়া ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেছে। তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল।
বিএনপির কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ, আমাদের সাথে জনগণ : কাদের
বিএনপির চলমান আন্দোলন রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো প্রার্থী বা হেভিওয়েট নেতাকে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা এটা প্রতিরোধ করবেন। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালকে ভয় পায়নি। এবারও যত বাধা আসুক ভয় পাবে না।
কাদের বলেন, বিদেশি শক্তি আমাদের পরামর্শ দিলে গ্রহণ করব। কিন্তু নির্বাচনের ক্ষতি হয় এমন শক্তিকে উসকানি দিলে মেনে নেব না। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলিরা যা করছে, আজকে বাংলাদেশে বিএনপি তা-ই করছে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিল শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে। কিন্তু তিনি গোটা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনা বরিশাল, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করছেন। মানুষ শেখ হাসিনকে ভালোবাসেন। জনগণ তাকে ও তার দলকে ভোট দিতে প্রস্তুত। শেখ হাসিনা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিএনপির কাছে আছে অস্ত্র-গোলাবারুদ, আর আমাদের সাথে আছে জনগণ।
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ১৬ বছর মন্ত্রী বানিয়েছেন। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে সেই সম্মান রাখবেন। আপনারা আমাকে কেমন ভালোবাসেন, ভালোবাসার রং কী, তা ৭ তারিখ ভোটের মাধ্যমে দেখা যাবে।