গাজা সিটির কৌশলগত শেজাইয়া এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে গোলানি ব্রিগেড
গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রধান ব্রিগেডটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে গাজা সিটির একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। ইসরাইলের গোলানি ব্রিগেডের ১৩তম ব্যাটেলিয়ন গাজা সিটির শেজাইয়া এলাকাটির দায়িত্ব আরেকটি ব্রিগেডের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ইসরাইলের ১৩ নম্বর চ্যানেলের বরাত দিয়ে লন্ডন-ভিত্তিক বার্তা সংস্থা আল-আরাবি আল-জাদিদ এ খবর জানিয়েছে। বার্তা সংস্থাটি বলেছে, গোলানি ব্রিগেডকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ইসরাইলি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এই বাহিনীর সেনাদেরকে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
গাজার শেজাইয়া এলাকা হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এবং এখানে ইসরাইলি বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ কারণে শেজাইয়া এলাকাটি ইহুদিবাদী বাহিনীর জন্য ‘মরণ ফাঁদ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
গাজার তেল আল-মুনতার উচ্চ ভূমিটি এই এলাকায় অবস্থিত এবং এখান থেকে গোটা গাজা সিটি দেখা যায় বলে এটির বিশেষ কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। এ কারণে এটিকে গাজার ‘প্রবেশ দ্বার’ও বলা হয়।
ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করা পর থেকে হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড শেজাইয়া এলাকায় দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছে। দু’সপ্তাহ আগে এই এলাকায় আল-কাসসামের একটিমাত্র হামলায় দুই পদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ গোলানি ব্রিগেডের অন্তত ১০ সেনা নিহত ও অপর চারজন গুরুতর আহত হয়।
গত ৩১ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তেলআবিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাজায় ১৩৯ দখলদার সেনা নিহত ও প্রায় ২,০০০ সেনা আহত হয়েছে। অন্যদিকে জল, স্থল ও আকাশপথে গাজার ওপর ইহুদিবাদী বাহিনীর সর্বাত্মক হামলায় এখন পর্যন্ত ২০,০৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৮,০০০ শিশু ও ৬,২০০ নারী রয়েছেন।