Home নির্বাচন ঢাকা-২০ আসনে নৌকার নির্বাচন না করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩

ঢাকা-২০ আসনে নৌকার নির্বাচন না করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর বাড়ি গিয়ে পরিবারকে হুমকি দেওয়া ও তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্র ছেড়ে নৌকার নির্বাচন না করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভাগ্নে। তবে, অভিযুক্ত বলছেন, তিনি ওই ইউপি সদস্যের খোঁজ নিতে তার বাড়ি যান। তার স্ত্রী-কন্যা তাকে খাবার খাইয়ে আপ্যায়ন করেন।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোমগ্রাম এলাকায় সাবেক ওই ইউপি সদস্যের বাড়ি গিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়। ওই সাবেক ইউপি সদস্যের নাম নাজমুল হাসান মুক্তার।

তিনি জানান, তার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে গিয়ে এমপি বেনজির আহমদের ভাগ্নে মাহফুযুল হক শাহিন হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখান। এ ছাড়া ওই এলাকায় কাঁচি প্রতীকের কিছু পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলা হয়।

নাজমুল হাসান বলেন, আমি বাড়ি ছিলাম না। তখন এমপির ভাগ্নে শাহিন ও তার সঙ্গে আরও ৪-৫ জন আমার বাড়ি গিয়ে আমার স্ত্রীকে হুমকি দেয়। সে বলে আমি যদি নৌকার পক্ষে কাজ না করি তাহলে আমাকে মামলা দেওয়া হবে ও আমার ওপর হামলা করে প্রাণনাশ করা হবে। ওই সময় গোমগ্রাম এলাকায় কাচি প্রতীকের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলে তারা।

এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, এমপির ভাগ্নে মাহফুজ শাহিন মুক্তার মেম্বারের বাড়ি গিয়ে তাকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয় ও কাঁচি প্রতীকের কর্মী হিসেবে কাজ করতে মানা করে। এই বিষয়ে থানায় জানিয়েছি।

মাহফুজ শাহিন বলেন, সে আমাদেরই ছিল। দুইদিন ধরে ফোন ধরছিল না। আমরা ওখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমার সঙ্গে এক ইউপি সদস্য ও আরও দুজন ছিল। ভাবলাম, কী হইসে, অসুস্থও থাকতে পারে। পরে বাড়ির সামনে গেছি। তখন ভাবি টেনে বাড়ি নিয়ে গেছে। আমাদের অনেক আপ্যায়ন করেছে। মুক্তার আলীকে ফারুক মেম্বারও ফোন দিল। তার বাড়িতে বসে আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম। পাশে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। আমাকে দাওয়াত দিল। মুক্তার আলীর স্ত্রী, ফারুক মেম্বারকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন কী হয়েছে।

হামলা মামলার হুমকির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অসম্ভব। তার ছেলে ছিল। সে জনসভা করব কি না জানতে চাইল। সে রাজনৈতিক কারণে হয়তো বলতে পারে। তার বাসায় খেজুর, আপেল, সেমাই খেয়েছি আমরা। ভাত খাওয়ার জন্য জোরাজোরি করেছিল। তবে সময় স্বল্পতায় খাইনি।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, আমি শুনেছি। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হবে বিষয়টি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *