পোশাক রপ্তানি: নিষেধাজ্ঞার কোনো আশঙ্কা দেখছেন না বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো কারণ নেই এবং এর যুক্তিও দেখছেন না বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এজন্য সংগঠনটি উদ্বিগ্ন নয় বলে জানালেন বিজিএমই’র সভাপতি ফারুক হাসান।
ফারুক হাসান জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো রকম শুল্ক মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে না দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে কাজ করছে তারা। শ্রম আইন যেন কোনো রকম লঙ্ঘন না হয়, সেদিকেও নজর রাখছে বিজিএমইএ।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেশের ক্ষতি যেন না হয় এবং পোশাক খাতের পণ্য রফতানিতে যেন বাধা তৈরি না হয় সেইদিকে খেয়াল রাখবেন রাজনৈতিক নেতারা।
বিজিএমইএর সভাপতি জানান, গত বছর ইইউতে পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশ নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। গত বছর ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩৩ কোটি কেজি। একই সময়ে ইইউতে চীনের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩১ কোটি কেজি।
ওই বছর ইইউতে বাংলাদেশ ৭৩০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল, যা ছিল চীনের চেয়ে কম। কিন্তু এ বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রথমবারের মতো নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে টপকে গেছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয় বলে উল্লেখ করেন ফারুক হাসান।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ কয়েকটি গন্তব্যের অন্যতম হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। এ বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়লে সামগ্রিকভাবে তা রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।