মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা ২০ কোটি টাকার ফেব্রিক্স আটক
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সিনথেটিক ফেব্রিক্সের স্থলে শার্টিং, চিনাউল, ও ভেলভেট ফেব্রিক্স আমদানি করায় ১২ ট্রাক ফেব্রিক্স আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে বেনাপোল বন্দরের ২৯ নাম্বার শেডে ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৪টি পণ্য চালান আটক করা হয়।
কাস্টমস সূত্র জানায়, পণ্য চালানের আমদানিকারক দিনাজপুরের রোজা মনি এন্টারপ্রাইজ। রপ্তানিকারক ভারতের সুন্দরী ফ্যাশন। পণ্য চালানটি বন্দরে প্রবেশের সময় ওয়েইং স্কেলে ৮ টন মালামাল বেশি থাকলেও স্কেলে কর্মরত বন্দরের কর্মকর্তা সন্দীপ রায় প্রিন্ট দেওয়ার সময় মালামাল সঠিক আছে বলে ওজন শ্লিপ প্রিন্ট করে দেন।
বন্দরের সূত্র জানায়, পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্বে আছে সিএন্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের তৃনা অ্যাসোসিয়েটস ও অনন্তা এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট
ঘোষণায় কটন ফেব্রিক্স থাকলেও সব শাটিং ফেব্রিক্স ও বক্স ফেব্রিক্স আছে। পার প্যাকেজ টিয়ার ৩শ গ্রাম ঘোষণা থাকলেও ৩ কেজি করে পাওয়া যায়। একই শেডে ৫-৭টি ফেব্রিক্সের চালান রেখে একটি কনসাইনমেন্ট পরীক্ষা করে খালাসের সময় মিথ্যা ঘোষণার চালান খালাস করে থাকে।
পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত শরীফুল ইসলাম জানান, পণ্য চালানগুলো খালাসের করার দায়িত্ব আমার। আমার নিজের কোনো লাইসেন্স নেই, ভাড়া লাইসেন্সেই কাজ করি। তবে মালামালগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনো পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেননি। তবে টিয়ারজনিত কারণে ৪ টন মালামাল বেশি থাকার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, আমাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পণ্য চালানগুলো ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের শেডে আনলোড করা হয়েছে। তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষণ কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।